Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

শুক্রবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২২

বিএসএফের মহিলা বাহিনীর নদীপথে নজরদারি

River-surveillance

সমকালীন প্রতিবেদন : সুন্দরবন লাগোয়া জল সীমান্তে দুষ্কৃতী কার্যকলাপ রুখতে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর বিশেষ মহিলা দল মোতায়েন করা হল। অত্যাধুনিক লঞ্চ, স্পিড বোট, আগ্নেয়াস্ত্র সহ এই বাহিনীকে জলপথে ভারতীয় সীমান্ত এলাকা সুরক্ষিত রাখার জন্য ব্যবহার করছে বিএসএফ কর্তৃপক্ষ।

উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার স্বরূপনগর থেকে সুন্দরবন লাগোয়া হেমনগরের শামসেরনগর পর্যন্ত বাংলাদেশ লাগোয়া মোট ৯৩ কিলোমিটার সীমান্ত পথ রয়েছে। এর মধ্যে ৪০ কিলোমিটার জলপথ এলাকা। 

স্থলপথের ৫৩ কিলোমিটার এলাকায় কাঁটাতার লাগানো হলেও ভৌগোলিক কারণে জলপথে সেই ব্যবস্থা কার্যকরী করা সম্ভব নয়। আর তারই সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশ থেকে কখনও জলদস্যু, আবার কখনও চোরাকারবারীরা তাদের দুষ্কর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।

ভারতীয় সীমানার মধ্যে থাকা নদীতে ছোট ছোট নৌকায় করে প্রতিনিয়ত মাছ ধরতে যান স্থানীয় মৎস্যজীবীরা। বাংলাদেশের জলদস্যুরা মাঝেমধ্যেই ওই মৎস্যজীবীদের উপর হামলা চালিয়ে লুঠপাট চালায়। 

এছাড়া, জলপথে খোলা সীমান্তের সুযোগ নিয়ে অনেক সময়েই চোরা কারবারীরা কখনও ভারত থেকে বাংলাদেশে, আবার কখনও বাংলাদেশ থেকে ভারতে চোরাচালানের কাজে লিপ্ত থাকে। সেখানে নানা অস্ত্র, মাদক সহ বিভিন্ন সামগ্রী পাচার করা হয়।

এই জলপথকে ব্যবহার করে সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ অরণ্যের মূল্যবান গাছও অনেক সময় কেটে, মধু চুরি করে, বন্যজন্তু শিকার করে নিয়ে যায় চোরা শিকারীরা। নজরদারির অভাবে তা অনেক সময়েই আটকানো সম্ভব হয় না।

সীমান্ত লাগোয়া নদীপথে অনেক সময়েই মৎস্যজীবীরা মাছ ধরতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পরেন। সেই সময় দ্রুততার সঙ্গে তাঁদেরকে স্থলভাগে এনে চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার উপায় থাকে না। এর পাশাপাশি, বিদেশী শত্রুর হাত থেকে দেশকে রক্ষা করা তো রয়েছেই।  

এমনই নানা কারণে বাংলাদেশ লাগোয়া ভারতীয় সীমানার জলপথে নজরদারির জন্য ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মহিলা বাহিনীকে মোতায়েন করা হয়েছে। আধুনিক সাজে সজ্জিত এই বাহিনী জলপথে ২৪ ঘন্টা নজরদারির কাজ চালাবে। 





কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন