Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

মঙ্গলবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২২

বার্মাটিক কাঠ পাচারের চেষ্টা ব্যর্থ করল বনদপ্তর

 ‌

Barmatic-wood-smuggling-attempt

সমকালীন প্রতিবেদন : ফের বড়সড় সাফল্য পেল বনদপ্তর। ট্রাকে করে মূল্যবান কাঠ পাচারের চেষ্টা ব্যর্থ করল রাজ্য বনদপ্তর। উদ্ধার হল বহু টাকার চোরাই কাঠ। এই ঘটনায় ভিন রাজ্যের দুই কাঠ পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জলপাইগুড়ির বেলাকোবা এলাকার ঘটনা।

উত্তরবঙ্গ থেকে কাঠ পাচারের ঘটনা নতুন কিছু নয়। কখনও বনদপ্তরের উদাসিনতায় আবার কখনও বনদপ্তরের কর্মীদের চোখকে ফাঁকি দিয়ে এই কাঠ পাচারের কাজ হয়। তবে কিছু ক্ষেত্রে বনদপ্তরের দক্ষ আধিকারিকদের সদিচ্ছায় এই চেষ্টা ব্যর্থ হয়।

যেমন হচ্ছে জলপাইগুড়ির বেলাকোবা রেঞ্জে। সোমবার এই এলাকা দিয়ে ট্রাকে করে মূল্যবান কাঠ পাচার করার চেষ্টা হচ্ছিল। বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে সেই চেষ্টা ব্যর্থ করা হয়। দিন কয়েক আগে একইভাবে এই এলাকায় ধরা পরেছিল এই ধরনের চোরাই কাঠ।

বনদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এদিন জলপাইগুড়ি সংলগ্ন রানিনগর এলাকা দিয়ে একটি ট্রাকে করে কাঠ পাচারের চেষ্টা হচ্ছিল। গোপন সূত্রে সেই খবর পেয়ে বেলাকোবার রেঞ্জার সঞ্জয় দত্তের নেতৃত্বে বনদপ্তরের কর্মীরা একটি ট্রাককে আটক করে।

ট্রাকের ডালা খুলে দেখা যায়, তারমধ্যে মিষ্টি কুমড়ো বোঝাই করা। প্রাথমিকভাবে এই অবস্থায় ট্রাকটিকে দেখে বিভ্রান্ত হয়ে পরেন বনদপ্তরের কর্মীরা। এরপর বেশ কিছু কুমড়ো সরাতেই তার ভেতর থেকে বেরিয়ে পরে বার্মাটিক কাঠ।

কুমড়োর আড়ালে সারি সারি বার্মাটিক কাঠ এভাবে পাচারের চেষ্টা হচ্ছিল। আটক কাঠের মূল্য প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা বলে বনদপ্তর সূত্রে জানা গেছে। চোরাই কাঠের পাশাপাশি ট্রাকের চালক শেখ কলিম এবং সহকারী মহম্মদ নায়িমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বাড়ি মহারাষ্ট্রে।

ধৃতদের জেরা করে বনদপ্তরের আধিকারিকেরা জানতে পেরেছেন, এই কাঠগুলি গুয়াহাটি থেকে ট্রাকে করে অভিনব পদ্ধতিতে কলকাতার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। বনদপ্তর কিম্বা প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিতে কাঠের উপরে কুমড়ো দিয়ে সাজিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। যদিও শেষ রক্ষা হল না।




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন