সমকালীন প্রতিবেদন : পাশের জেলায় ব্যক্তিগত কাজে গিয়ে দুষ্কৃতীদের হাতে নৃশংসভাবে খুন হলেন এক তৃণমূল নেতা। বৃহস্পতিবার সন্ধেয় মুর্শিদাবাদ জেলার এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। ঘটনার পরপরই এলাকায় হাজির হন জেলা পুলিশের কর্তারা। মৃত তৃণমূল নেতার পরিজনদের অভিযোগ, বিজেপির দুষ্কৃতীরা এই কান্ড ঘটিয়েছে।
পুলিশ এবং পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মৃত ব্যক্তির নাম মতিরুল ইসলাম। তিনি নদীয়া জেলার নারায়নপুর এলাকার বাসিন্দা। তাঁর স্ত্রী নারায়নপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান। মতিরুল নিজে তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের নেতা।
মতিরুলের ছেলে মুর্শিদাবাদের নওদার আমতলা এলাকার একটি বেসরকারি বিএড কলেজের ছাত্র। বৃহস্পতিবার মোটর বাইক চালিয়ে ছেলের সঙ্গে দেখা করতে যান মতিরুল। সেই কাজ সেরে সন্ধেয় মোটর বাইকে করে একাই বাড়িতে ফিরছিলেন তিনি।
টিয়াকাটা ফেরিঘাট এলাকায় আসার পর কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁর পথ আটকে তাঁকে গাড়ি থেকে জোর করে নামায়। এরপর একাধিক বোমা এবং গুলি চালিয়ে মতিরুলকে নৃশংসভাবে খুন করে নির্বিঘ্নে অন্ধকার, নির্জন ওই এলাকা থেকে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
গুলি এবং বোমার আঘাতে বাইক থেকে রাস্তার ধারে মাটিতে লুটিয়ে পরেন মতিরুল। বোমা, গুলির শব্দ শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন এলাকার মানুষ। তাঁরাই রক্তাক্ত মতিরুলকে স্থানীয় নওদা আমতলা হাসপাতালে নিয়ে যান।
কিন্তু তাঁর আঘাত গুরুতর হওয়ায় এরপর তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পরতেই দুই জেলা জুড়ে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
এই খুনের ঘটনার পেছনে বিজেপির হাত রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন মৃতের ভাই গোলাম বিশ্বাস। তাঁর দাবি, তাঁর ভাই মানুষকে ভালোবাসে। মানুষও তাঁকে ভালোবাসে। আর সেটা সহ্য করতে না পেরে তাঁর ভাইকে খুন করা হয়েছে।
খুনের ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন জেলা পুলিশের কর্তারা। তাঁরা এলাকা পরিদর্শন করেন। ঘটনাস্থলে পরে থাকা গুলির খাপ উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়। পাশাপাশি, যে মোটর বাইকে করে মতিরুল বাড়ি ফিরছিলেন, সেই বাইকটিও উদ্ধার করেছে পুলিশ। কি কারণে এই খুন, পুলিশ তা তদন্ত করে দেখছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন