সমকালীন প্রতিবেদন : প্রায় ৩০ বছর ধরে হাজারেরও বেশি প্রকারের পেন সংগ্রহ করেছেন তিনি। তাঁর ঘর হয়ে উঠেছে পেনের একটি আস্ত সংগ্রহশালা। খাগের কলম, পাখির পালকের কলম, নিব পেন থেকে শুরু করে সোনা, রুপো, তামা, পাথর এছাড়াও কাঠ, কাগজ, প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি পেন– কী নেই তার সংগ্রহে! আর এই পেন সংগ্রাহকের নাম সুবীরকুমার সাহা।
মালদা শহরের গ্রীন পার্ক এলাকার বাসিন্দা, পেশায় গ্রন্থাগার কর্মী সুবীরকুমার সাহা প্রায় ৩০ বছর ধরে সংগ্রহ করেছেন বহু ধরনের পেন। আজ আন্তর্জাতিক ফাউন্টেন পেন দিবস।
আর এই আন্তর্জাতিক ফাউন্টেন পেন দিবসেই তাঁর সংগ্রহ করা হাজারেরও বেশি প্রকারের পেন দিয়ে নিজের বাড়িতেই আয়োজন করেছেন একটি প্রদর্শনীর।২০১২ সালে প্রথম প্রতিষ্ঠিত হয় আন্তর্জাতিক ফাউন্টেন পেন দিনটি।
তারপর থেকেই প্রতিবছর নভেম্বর মাসের প্রথম শুক্রবার আন্তর্জাতিকভাবে পালিত হয় ফাউন্টেন পেন দিবস। এবছর ৪ নভেম্বর পালিত হচ্ছে দিবসটি।
এটি বিশেষত ফাউন্টেন পেন ব্যবহারের পাশাপাশি সাধারণভাবে লেখার আনন্দ উদযাপন এবং প্রচারের জন্য উৎসর্গীকৃত একটি দিন। এই দিনটিকেই একরকম উৎসবের আকারে পালন করছেন পেশায় গ্রন্থাগার কর্মী সুবীর কুমার সাহা।
দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে দেশ-বিদেশ সহ বিভিন্ন স্থান থেকে পেন সংগ্রহ করেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, কোন কোন দেশের কি ধরনের পেন, কে আবিষ্কার করেছিলেন, তাও লিপিবদ্ধ করা আছে তাঁর কাছে।
সুবীরবাবু বলেন, প্রথমে মানুষ মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য গুহার গায়ে পাথরের উপর আচর দিয়ে লিখতো। এরপর খাগের কলম, পাখির পালকের কলম, তারপর নিব পেনের ব্যবহার শুরু হয়। বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের বলপেন পাওয়া যায়। ইতিহাস লেখা হয়েছে পেন দিয়েই। কিন্তু বর্তমানে ইন্টারনেটের যুগে পেনের ব্যবহার প্রায় লুপ্ত।
আন্তর্জাতিক ফাউন্টেন পেন দিবসটি যারা যারা পালন করেন, তাদের মত অনুযায়ী এই দিনটি পালনের উদ্দেশ্য হল, সৃজনশীল লেখার আনন্দের পাশাপাশি মার্জিত সরঞ্জাম দিয়ে লেখার সৌন্দর্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা।
আগামী প্রজন্মের সামনে পেনের ইতিহাস ও তার তাৎপর্য তুলে ধরার জন্য ৩০ বছর ধরে সংগ্রহ করা বিভিন্ন ধরনের পেন তাঁর ঘরের মেঝেতে প্রদর্শনীর মাধ্যমে ফাউন্টেন পেন ডে পালন করলেন তিনি।
দোয়াতের কালিতে পাখির পালক দিয়ে তৈরি পেন ডুবিয়ে, সেই পেন দিয়েই কাগজের উপর 'ফাউন্টেন পেন ডে' লেখেন সুবীরকুমার সাহা। আর এভাবেই পেনের অতীতকে বাঁচিয়ে রেখেছেন সুবীরবাবু।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন