Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

বৃহস্পতিবার, ২৫ আগস্ট, ২০২২

‌অসুস্থ ব্যক্তি পুলিশের সহযোগিতায় বাড়ি ফিরলেন

The-sick-man-returned-home

শম্পা গুপ্ত : পুলিশের সহযোগিতায় মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি। পরিবারের নিখোঁজ সদস্যকে ফিরে পেয়ে খুশি বাড়ির লোকেরা। এক্ষেত্রে পুলিশের এই ভূমিকার প্রশংসা করেছেন তাঁরা। পুরুলিয়ার সাঁতুড়ি থানা এলাকার ঘটনা।

ঘটনার সূত্রপাত দিন চারেক আগে। গত রবিবার এলাকায় টহল দেওয়ার সময় একজন অপরিচিত ব্যক্তিকে ইতস্ততভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখে পুরুলিয়ার সাঁতুড়ি থানার পুলিশের সন্দেহ হয়। তাকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিন্তু হিন্দীভাষি ওই ব্যক্তি তার নিজের নাম, ঠিকানা কিছুই ঠিক করে বলতে পারছিলেন না। 

এই অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে থানায় নিয়ে আসা হয়। তার কথাবার্তায় অসঙ্গতি ধরা পড়ে। তিনি কোথা থেকে কিভাবে এই এলাকায় এসেছেন, কোথায় যেতে চান, তার কিছুই তিনি পুলিশকে জানাতে পারেন নি। ওই ব্যক্তির আচরণে পুলিশ কর্মীরা বুঝতে পারেন যে, তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন। 

তবে তিনি কথাবার্তার ফাঁকে মাঝেমধ্যে সঠিক উত্তর দিচ্ছিলেন। আর এভাবেই একসময় তিনি একটি মোবাইল নম্বর বলেন। সেই নম্বরে ফোন করেন থানার পুলিশ কর্মীরা। আর তখনই ওই ব্যক্তির নাম, পরিচয় জানা যায়। 

থানা থেকে ফোন করার পর অপর প্রান্ত থেকে ফোন ধরেনোই ব্যক্তির স্ত্রী। আর তখনই পুলিশ কর্মীরা ওই ব্যক্তির সম্পর্কে সবকিছু জেনে তাঁকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য থানায় আসতে বলেন। পরিবারের লোকেদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পারে যে, ওই ব্যক্তির নাম সঞ্জয় প্রসাদ। 

পরিবারের লোকেরা জানান, চাকরি খোঁজার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ট্রেনে যাওয়ার  পথে ভুল করে তিনি পুরুলিয়ায় এসে পরেন। আর তারপর থেকে তাঁর আর কিছু মনে নেই। নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পর বাড়ির লোকেরা তাঁর অনেক খোঁজ চালিয়েও কোনও সন্ধান পাচ্ছিলেন না। 

অবশেষে এদিন সাঁতুড়ি থানার পুলিশের কাছে থেকে ফোন পেয়ে আশ্বস্ত হন পরিবারের লোকেরা। পুলিশের  ফোন পেয়ে বুধবার সাঁতুড়ি থানায় পৌঁছান পরিবারের লোকেরা। সাঁতুড়ি থানার ওসি বিশ্বজিৎ ব্যানার্জী জানান, সঞ্জয় প্রসাদের বাড়ি উত্তরপ্রদেশের বানাকাটা থানার অন্তর্গত রামপুর গ্রামে। 

বুধবার সকালেই সঞ্জয়ের স্ত্রী ধর্মশিলা প্রসাদ এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা সাঁতুড়ি থানায় এসে পৌঁছান। নিখোঁজ হয়ে যাওয়া স্বামীকে থানায় দেখে আনন্দে কেঁদে ফেলেন ধর্মশীলা দেবী। খুশি মনে স্বামীকে নিয়ে বাড়ি ফিরে যান। 

ধর্মশীলা দেবী জানান, 'পুরুলিয়া জেলা পুলিশের সহযোগিতায় স্বামীকে ফিরে পেলাম। এই উপকার সারা জীবন ভুলবো না।' পথ খরচ বাবদ পুলিশের পক্ষ থেকে ওই পরিবারের হাতে কিছু অর্থও তুলে দেওয়া হয়। এদিনই তাঁরা বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন।




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন