সমকালীন প্রতিবেদন : ফেসবুকের মাধ্যমে উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর থানার বনবনিয়া রামকৃষ্ণপল্লীর বাসিন্দা বছর ২৬ বয়সের রাজীব সরকার নামে এক যুবকের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল গোপালনগরের বাসিন্দা সুমি মন্ডল ওরফে মিষ্টু নামে এক মহিলার।
রাজীবের পরিবারের সদস্যদের দাবি, মিষ্টু যে বিবাহিতা, তা জানতো না রাজীব। তার প্রেমিকা বিবাহিতা জানার পরই গত শনিবার আত্মহত্যা করে রাজীব, এমনই দাবি তার পরিবারের। আরও অভিযোগ, প্রেমের ফাঁদে ফেলে ওই মহিলা তাদের ছেলের কাছ থেকে দেড় লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
অশোকনগরের বাসিন্দা হলেও কর্মসূত্রে দুবাই থাকতেন রাজীব। সম্প্রতি ছুটিতে বাড়ি এসেছিলেন। আর তারই মধ্যেই ঘটে যায় অঘটন। গত শুক্রবার রাতে খাওয়াদাওয়া করে নিজের বাড়িতে শুয়ে পরেন রাজীব। সঙ্গে তাঁর এক বন্ধুও ছিল। সকালে ঘরের ভেতর থেকে রাজীবের অচৈতন্য মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
বাড়ির লোকেরা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা রাজীবকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, মিষ্টু নামে ওই মহিলার কারণে তাঁদের ছেলে আত্মহত্যা করেছে।
এব্যাপারে মৃত যুবকের মায়ের বক্তব্য, তাঁর ছেলেকে ফাসিয়ে ছেলের কাছ থেকে দেড় লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ওই মহিলা। ওই মহিলার স্বামী ফোন করে তাঁদেরকে জানিয়েছে যে, ওই মহিলা বিবাহিতা। তার সন্তানও আছে।
অভিযুক্ত মহিলার দাবি, সমস্ত কিছু জেনেই রাজীব তাকে ভালোবেসেছিল। গত ৪ বছর ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক। মাঝেমাঝেই তাদের মধ্যে মনোমালিন্য হলেও পরে তা ঠিক হয়ে যেত। কিন্তু এদিন এমন ঘটনা ঘটে যাবে, তা সে ভাবতে পারে নি।
সোমবার রাজীবের খোঁজে গোপালনগর থেকে মিষ্টু অশোকনগরে গেলে রাজীবের পরিজনেরা তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারেন যে, ওই মহিলা বিবাহিতা। তার সন্তানও আছে। রাজীবের অকাল মৃত্যুর জন্য ওই মহিলাকে দায়ী করে এরপর তাকে মারধোর করা হয়। পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন