Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

বৃহস্পতিবার, ৭ জুলাই, ২০২২

চন্দন মন্ডলের ‌বাগদার বাড়িতে সিবিআইয়ের তল্লাসী অভিযান

 ‌

CBI-search-operation

সমকালীন প্রতিবেদন : হাইকোর্টের নির্দেশে অবশেষে উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার মামাভাগিনা গ্রামে চন্দন মন্ডলের বাড়িতে তদন্তে এলেন সিবিআই অফিসারেরা। বৃহস্পতিবার দুপুর ১ টা নাগাদ কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে নিয়ে মোট দুটি গাড়িতে করে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার দায়িত্বে থাকা সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসারেরা এদিন চন্দন মন্ডলের বাড়িতে আসেন।

রাজ্যে প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক স্তরে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি মামলায় নাম জড়ায় বাগদার চন্দন মন্ডলের। আর তাই বিচারক চন্দনের ব্যাপারে তদন্তের নির্দেশ দেন। ইতিমধ্যেই সিবিআই চন্দনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে। যদিও এর অনেক আগে থেকেই পরিস্থিতি ঘোরালো বুঝে গা ঢাকা দিয়েছে অভিযুক্ত চন্দন।

হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলার তদন্তের দায়িত্বে থাকা সিবিআই অফিসারদের একটি দল প্রায় এক মাস পর তদন্তের স্বার্থে চন্দন মন্ডলের বাড়িতে এলো। এদিন দুপুর ১ টা নাগাদ তাঁরা চন্দনের বাড়িতে আসেন। বাড়ির আশপাশে সংবাদ মাধ্যম সহ অন্যান্য কোনও ব্যক্তি যাতে প্রবেশ না করতে পারেন, তারজন্য কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা রক্ষী মোতায়েন করা হয়।

এদিন সিবিআইয়ের ৬ জনের দলটি বিকেল ৪ টে পর্যন্ত তদন্তের কাজ চালায়। তারপর তাঁরা চন্দনের বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। যদিও তদন্তকারী অফিসারেরা কিম্বা চন্দন মন্ডলের বাড়ির সদস্যেরা– কেউই এব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে চান নি।

এব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়দের বক্তব্য, সিবিআই অফিসারদের অনেক আগেই চন্দনের বাড়িতে আসা উচিত ছিল। অভিযোগ ওঠা এবং তারপর হাইকোর্টের নির্দেশ জারি হবার পরেও এক মাসের বেশি সময় কেটে গেছে। ফলে বাড়িতে যদি কোনও নথি থেকেও থাকে, তাহলে তা সরিয়ে ফেলার জন্য যথেষ্ট সুযোগ পাওয়া গেছে। 

ফলে এতোদিন পর শুধু জিজ্ঞাসাবাদ ছাড়া চন্দনের বাড়ি থেকে কোনও নথি উদ্ধার করা তদন্তকারী সিবিআই অফিসারদের পক্ষে সম্ভব নয় বলে ধারনা করছেন স্থানীয়রা। এদিন চন্দনের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি চন্দন এখন কোথায় আছে, সিবিআই অফিসারেরা তা জানার চেষ্টা করেছেন বলে সূত্রের খবর।

উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্যে স্কুল শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা চলাকালীন মাস দেড়েক আগে প্রাক্তন সিবিআই কর্তা তথা বাগদার একসময়কার তৃণমূল বিধায়ক, প্রাক্তন মন্ত্রী উপেন বিশ্বাসের ফেসবুকে পোষ্ট করা একটি প্রতিবেদন ভাইরাল হয়। 

সেখানে জনৈক 'রঞ্জন সৎ'‌ এই বলে তিনি উল্লেখ করেছেন, স্কুল শিক্ষকতার চাকরি পাওয়ার জন্য কিভাবে দূরদূরান্ত থেকে মানুষ লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে এই রঞ্জনের বাড়িতে হাজির হতো। টাকার বিনিময়ে কিভাবে চাকরির ব্যবস্থা করা হতো, চাকরি না দিতে পারলে টাকা ফেরতের সেই কাহিনী বর্ণনা করা হয়েছিল সেই প্রতিবেদনে।

পরবর্তিতে এই প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই হাইকোর্ট রঞ্জনের আসল পরিচয় সামনে আনার নির্দেশ দেয়। আর তখনই জানা যায়, এই রঞ্জন আসলে বাগদার মামাভাগিনা গ্রামের বাসিন্দা তথা স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পার্শ্ব শিক্ষক চন্দন মন্ডল। আর তারপরেই হাইকোর্ট চন্দন মন্ডলের ব্যাপারে তদন্তের নির্দেশ দেয়। 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন