শম্পা গুপ্ত : করোনার কারণে গত দুবছর বুদ্ধ পূর্ণিমায় সমস্ত কিছু বন্ধ থাকলেও এবছর বাস, ট্রেন সবকিছু স্বাভাবিক চলছে। আর তাই এবার পুরুলিয়া জেলা সহ আশপাশের জেলা এমনকি পার্শ্ববর্তী রাজ্য থেকেও বহু শিকারিরা আসবেন পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ে। বুদ্ধ পূর্ণিমায় পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ে শিকার উৎসব পালন করা হয়ে থাকে। বংশ পরম্পরায় এই রীতি পালন করে আসছেন মূলত আদিবাসী সমাজের মানুষেরা।
অতীতে অযোধ্যা পাহাড়ে প্রচুর বন্য জন্তুর দেখা মিললেও বর্তমানে সেই সংখ্যা নিতান্তই কম। বন্য জন্তু শিকারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি আছে। তারপরেও মানুষকে সচেতন করতে অযোধ্যা পাহাড় এবং সংলগ্ন এলাকায় পশু শিকার বন্ধ করতে বিশেষ উদ্যোগ নিল পুরুলিয়া বন দপ্তর। সাঁওতালী নাচ এবং গানের মাধ্যমে এখন আদিবাসী গ্রামগুলিতে গিয়ে লাগাতার প্রচার চালানো হচ্ছে।
শনিবার পুরুলিয়া বনদপ্তরের অফিসে সাংবাদিক সম্মেলন করে জেলা বনাধিকারিক দেবাশীষ শর্মা জানিয়েছেন, 'পশু শিকার বন্ধ করতে আমরা সব রকমের ব্যবস্থা নিয়েছি। বনদপ্তরের পক্ষ থেকে রেল, সড়ক সহ প্রতিটি রাস্তায় নজরদারি রাখা হবে। এখন সর্বত্র জোর কদমে প্রচার চলছে। বন্যপ্রাণ হত্যা যাতে না হয়, তারজন্য বুদ্ধ পূর্ণিমায় অযোধ্যা পাহাড় সহ বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে বনদপ্তরের কর্মীরা নজরদারি চালাবেন।'
বুদ্ধ পূর্ণিমায় নানা স্থান থেকে যেসব আদিবাসী পুরুষরা আসেন, তারা পাহাড়ের উপরে গড় থানে গিয়ে প্রাচীন রীতি মেনে প্রার্থনা করেন। তাদের অনেকেই শিকার উৎসবে মেতে ওঠেন। পাহাড়ে সারা রাত ঘুরে পশু শিকার করেন তারা। মূলত বন্য শুকর, হরিণ, ময়ুর, খরগোশ ইত্যাদি শিকার করা হয়। ধর্মীয় রীতি পালন করা হলেও যাতে কেউ পশু শিকার না করেন, তার জন্য সচেতনতামূলক প্রচার চালাচ্ছে জেলা বন দপ্তর।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন