শম্পা গুপ্ত : বেসরকারি ব্যাঙ্কের নাম ভাঙিয়ে এক রেলকর্মীর কাছ থেকে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠলো এক প্রতারকের বিরুদ্ধে। প্রতারণার শিকার এক রেলকর্মী। অবশেষে সাইবার ক্রাইম থানার সহযোগিতায় উদ্ধার হয় হাতিয়ে নেওয়া কয়েক লক্ষ টাকা। গ্রেপ্তার করা হয় জালিয়াতকে।
জানা গেছে, পুরুলিয়ার রেলকর্মী চন্দ্রকিশোর মাঝির একটি পলিসি বন্ধ হয়ে যায়। সামান্য টাকার বিনিময়ে সেই পলিসি চালু করে দেওয়ার টোপ দিয়ে গত বছরের ৫ জানুয়ারী চন্দ্রকিশোরকে ফোন করে এক অপিরিচিত ব্যক্তি। ফোনে ওই ব্যক্তি নিজেকে এক নামী বেসরকারি ব্যাংকের কর্মী হিসেবে পরিচয় দেয়।
এব্যাপারে চন্দ্রকিশোরবাবুকে ব্যাংকের কিছু নথিও দেওয়া হয়। সেইসম কাগজ দেখে সন্দেহ হয় নি তাঁর। প্রথমেই তিনি ওই ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে ১২ হাজার ৮৭৬ টাকা পাঠিয়ে দেন চন্দ্রকিশোর। এর পরে নানা সময় নানা অছিলায় তাঁর কাছ থেকে মোট ১৯ লক্ষ ৯০ হাজার ৩২৮ টাকা নেওয়া হয় বলে অভিযোগ চন্দ্রকিশোরবাবুর।
কিন্তু তারপরেও পলিসি পুনরুদ্ধার না হওয়ায় চন্দ্রকিশোর বাবু বুঝতে পারেন যে, তিনি প্রতারকের খপ্পরে পরেছেন। ২০২১ এর ২০ ডিসেম্বর তিনি পুরুলিয়ার সাইবার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গত ১৯ এপ্রিল সাইবার থানার পুলিশ দমদমের বাসিন্দা মলয় সাহা নামে এক প্রতারককে গ্রেপ্তার করে।
এই ঘটনার তদন্তকারী অফিসার বিকাশ রায় জানিয়েছেন, জালিয়াতি হওয়া ১৯ লক্ষ ৯০ হাজার ৩২৮ টাকার সম্পূর্ণটাই ওই প্রতারকের কাছ থেকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এই ধরনের জালিয়াতি চক্রের বিষয়ে সাধারণ মানুষকে আরও বেশি সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন