Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

মঙ্গলবার, ২৪ মে, ২০২২

‌৬ কোটি টাকার সোনা উদ্ধার, ধৃত ২ পাচারকারী

Gold-worth-Tk-6-crore-recovered

সমকালীন প্রতিবেদন : ভারত–বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকা থেকে ৬ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা মূল্যের সোনা আটক করল সীমান্ত রক্ষী বাহিনী। দুটি আলাদা অভিযান চালিয়ে এই বিপুল পরিমাণ ওজনের পাচারের সোনা আটক করেছে বিএসএফ। আটক করা সোনার ওজন প্রায় ১২ কেজি। এরমধ্যে, রপ্তানী বানিজ্যের একটি খালি ট্রাক থেকে এবং অন্যটি সীমান্ত সড়ক দিয়ে যাওয়া একটি বাইক থেকে এই সোনা উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।    

বিএসএফ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দুপুরে বাংলাদেশ থেকে পণ্য খালাস করে একটি ভারতীয় ট্রাক পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করার সময় নির্দিষ্ট খবরের ভিত্তিতে ট্রাকটিকে সীমান্তের গেটের সামনে দাঁড় করান বিএসএফের ১৭৯ নম্বর ব্যাটেলিয়নের জওয়ানেরা। 

এইসময় ট্রাকের কেবিনের ভেতরে ট্রাকচালকের সিটের পেছন থেকে কালো কাপড়ে মোড়ানো একটি বড় প্যাকেট উদ্ধার হয়। সেই প্যাকেট থেকে ৭০ টি সোনার বিস্কুট এবং ৩ টি সোনার বার উদ্ধার হয়। মোট আনুমানিক মূল্য প্রায় ৫ কোটি ৯৮ লক্ষ টাকা। এই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয় রাজ মন্ডল নামে ট্রাকের চালককে। তার বাড়ি বনগাঁ থানার জয়পুর এলাকায়।  

জেরায় বিএসএফ আধিকারিকদের সে জানিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে সে খালি ট্রাক নিয়ে আসছিল। এমন সময় বনগাঁর খলিতপুর এলাকার বাসিন্দা সাহাবুদ্দিন মন্ডল নামে এক ব্যক্তি এদিন সকাল সাড়ে ৯ টা নাগাদ তার সঙ্গে যোগাযোগ করে জানায়, পিন্টু নামে বনগাঁর হালদারপাড়ার এক বাসিন্দা তাকে একটি প্যাকেট দেবে। সেটি নিয়ে ভারতে এসে বনগাঁ-চাকদা সড়কে অবস্থিত শেফালী ট্রাক পার্কিং-এ পৌঁছে দিতে হবে। 

এরপর সে প্যাকেটটি নিয়ে ট্রাকের কেবিনে রাখে। ভারতে ফেরার সময় আইসিপির প্রধান গেটের কাছে যানবাহন চেকিংয়ের সময় বিএসএফ তাকে প্যাকেটসহ ধরে ফেলে। সে আরও জানায় যে, এই কাজের জন্য সাহাবুদ্দিন মন্ডল তাকে ১০ হাজার টাকা দেবে বলেছিল।

অন্যদিকে, ওইদিনই সকালে পেট্রাপোল থানার জয়ন্তীপুর সীমা চৌকিতে নজরদারির কাজ করছিলেন বিএসএফের ১৫৮ নম্বর ব্যাটালিয়নের জওয়ানেরা। রুটিন চেকিংয়ের সময় একটি সন্দেহভাজন মোটরসাইকেল আরোহীকে তল্লাশির জন্য থামানো হয়। তারপরে তল্লাশী চালিয়ে বাইকের সিটের নীচে কালো রঙের পোশাকে মোড়ানো অবস্থায় ৪ টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার হয়। যার ওজন ৪৬৬ গ্রাম। 

এরপরই মারুফ মন্ডল নামের বাইক চালককে গ্রেপ্তার করে বিএসএফ। তার বাড়ি জয়ন্তীপুর গ্রামেই। জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, সে একজন ভারতীয় নাগরিক। সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ার ওপারে নিজের বাড়িতে থাকে। সে সোনা পাচারের কাজের সঙ্গে যুক্ত। বাংলাদেশের বেনাপোলের সাদিকপুর গ্রামের বাবলু মণ্ডলের কাছ থেকে সে এই বিস্কুটগুলি সংগ্রহ করেছিল।

বিএসএফের সীমান্ত চৌকি পার করে বিস্কুটগুলি হাফিজুল শেখ নামে জয়ন্তীপুরের এক বাসিন্দার কাছে পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল তার। ধৃত দুই সোনা পাচারকারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিএসএফ জয়ন্তীপুর গ্রামের গিয়াসউদ্দিন মন্ডল, সালাহউদ্দিন শেখ, মহিউদ্দিন শেখের মতো কয়েকজন বড় চোরাকারবারীর নাম পেয়েছে। সোনা সহ ধৃতদের পরে শুল্ক দপ্তরের হাতে তুলে দিয়েছে বিএসএফ কর্তৃপক্ষ। 

বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ ফন্টিয়ারের জনসংযোগ আধিকারিক তথা সিনিয়র ডিআইজি সুরজিত সিং গুলেরিয়া সোনা পাচারকারীদের মূল স্রোতে ফিরে আসার বার্তা দিয়েছেন। না হলে সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের এমন কড়া নজরদারি থেকে এই পাচারকারীরা রেহাই পাবে না বলে তিনি জানিয়েছেন।




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন