সমকালীন প্রতিবেদন : বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসের নেতৃত্বে বুধবার তৃণমূলের এক প্রতিনিধিদল ঠাকুরবাড়িতে যান। এই দলে বিশ্বজিৎ দাস ছাড়াও ছিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক সুরজিৎ বিশ্বাস। তাঁরা মমতাবালা ঠাকুরের সঙ্গে দেখা করে মেলায় আগত ভক্তদের যাতে কোনওরকম অসুবিধা না হয়, সেব্যাপারে সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন।
মঙ্গলবার থেকেই ঠাকুরনগরে শুরু হয়েছে এবছরের মতুয়া মেলা। টানা দুবছর মেলায় অংশ নিতে না পারা মতুয়া ভক্তরা এবছর পুরোদমে সেই খামতি পূরণ করে নিতে চান। মতুয়া ভক্তদের সুবিধার্থে ইতিমধ্যেই ভরতীয় রেল উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার এবং অসমের লামডিং জংশন স্টেশন থেকে দুটি স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে। পাশাপাশি, জাহাজপথেও আসার বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এবছর মতুয়াদের নতুন পাওনা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শুভেচ্ছা ভাষণ। ভারত সরকার যে মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষের পাশে আছে, প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে সেই বার্তাই দিতে চেয়েছেন। কিন্তু রাজ্যের তৃণমূল সরকার যে প্রথম থেকেই মতুয়াদের পাশে আছে, সেকথা মনে করাতে তৃণমূলের প্রতিনিধিরা এদিন ঠাকুরনগরে যান বলে মনে করা হচ্ছে।
বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস এই প্রসঙ্গে বলেন, মতুয়া সম্প্রদায়ের জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী উন্নয়ন বোর্ড গঠনের পাশাপাশি পি আর ঠাকুরের নামে সরকারি কলেজ, হরিচাঁদ–গুরুচাঁদ ঠাকুরের নামে বিশ্ববিদ্যালয় গড়েছেন। ঠাকুরবাড়ির কামনা সাগর সহ গোটা ঠাকুরবাড়ি সাজিয়ে তুলেছেন।
বড়মার অত্যন্ত স্নেহভাজন মমতা ব্যানার্জী এভাবেই সবসময় মতুয়াদের সঙ্গে আছেন। ঠাকুরনগরে আগত মতুয়া ভক্তদের যাতে কোনওরকম অসুবিধা না হয়, তা দেখতে এদিন মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই তৃণমূলের প্রতিনিধিদল ঠাকুরনগরে যান বলে বিশ্বজিৎ দাস জানান।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন