Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

সোমবার, ১৪ মার্চ, ২০২২

পরিকল্পনা করে খুন : দাবি মৃত তৃণমূল কাউন্সিলরের স্ত্রীর

 ‌

Planned-murder

সৌদীপ ভট্টাচার্য : তাঁর স্বামীকে পরিকল্পনা করেই খুন করা হয়েছে। অনেকদিন ধরেই তাঁকে খুন করার ছক করা হচ্ছিল। এমনই দাবি করলেন পানিহাটি পুরসভার মৃত তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্তর স্ত্রী মিনাক্ষী দপ্তরের। স্থানীয় পুলিশের বদলে এই খুনের ব্যাপারে তিনি সিআইডি অথবা সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।

রবিবার সন্ধেবেলায় নিজের এলাকাতেই প্রকাশ্যে এক দুষ্কৃতীর হাতে খুন হন উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটি পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের জয়ী তৃণমূল প্রার্থী অনুপম দত্ত। আগে থেকে অপেক্ষা করে থাকা ওই খুনী পায়ে হেঁটে এসে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে তাঁকে মাথায় গুলি করে দৌড়ে পালিয়ে যায়। গোটা ঘটনা এলাকার একাধিক দোকানের সিসি ক্যামেরায় ধরা পরে। ঘটনার কিছুক্ষণ পর এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।

এই ঘটনার পর এলাকার মানুষ দুষ্কৃতীর খোঁজে এলাকায় চিরুনি তল্লাশি শুরু করেন। ওই এলাকায় একটি হোগলার জঙ্গল রয়েছে। স্থানীয়দের সন্দেহ হয়, ওই জঙ্গলেই আততায়ী লুকিয়ে থাকতে পারে। সেই সন্দেহে রাতেই এলাকার মানুষ ওই জঙ্গলে আগুন লাগিয়ে দেন। 

ঘটনাচক্রে আততায়ী ওই জঙ্গলের ভেতরেই লুকিয়ে ছিল। জঙ্গলে আগুন লাগার পর ভয়ে সেখান থেকে পালানোর চেষ্টা করে ওই আততায়ী। আর তখনই স্থানীয়দের হাতে ধরা পরে যায় সে। এরপর শুরু হয় গণধোলাই। পরে খবর পেয়ে পুলিশ উত্তেজিত জনতার হাত থেকে কোনওক্রমে তাকে উদ্ধার করে খড়দা থানায় নিয়ে যায়।

সোমবার সকালে এলাকার মানুষ ওই জঙ্গলে তল্লাসী চালিয়ে সেখান থেকে আলাদা আলাদাভাবে একটি সাধারণ মোবাইল ফোন, ফোনের ব্যাটারী, মেমারী স্টেশন থেকে শেওড়াফুলি স্টেশনের মধ্যে যাতায়াতের রিটার্ন টিকিট এবং তারসঙ্গে খুনের কাজে ব্যবহার করা একটি দেশী আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে। তবে মোবাইলের সিমকার্ডটি এখনও পাওয়া যায় নি। পরে উদ্ধার হওয়া জিনিসগুলি পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। 

জানা গেছে, ধৃত আততায়ীর নাম অমিত পন্ডিত ওরফে শম্ভু। বাড়ি নদীয়া জেলার হরিনঘাটা এলাকায়। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, সে একজন ভাড়াটে খুনী। তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্তকে খুন করার জন্য কেউ বা কারা তাকে ভাড়া করে এনেছিল। এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

এদিকে, ধৃত দুষ্কৃতীকে সোমবার আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে ১০ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তার বিরুদ্ধে ৩০২, ১২০ বি আইপিসি এবং ২৫ ও ২৭ আর্মস অ্যাক্টে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ধৃতকে জেরা করে এই খুনের ঘটনার পেছনে কারা যুক্ত, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

অন্যদিকে, এই খুনের ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব নিয়েছে সিআইডি। সোমবারই সিআইডির এক প্রতিনিধিদল এলাকা ঘুড়ে যান। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখার পাশাপাশি তাঁরা খুনের ঘটনাস্থল ঘুড়ে দেখেন। এদিন বিকেলে নিহত কাউন্সিলর অনুপম দত্তর মৃতদেহ এলাকায় আসতেই প্রচুর মানুষ তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে হাজির হন।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন