Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

সোমবার, ১৪ মার্চ, ২০২২

‌নিহত কাউন্সিলারের দেহ এলো বাড়িতে, শ্রদ্ধা প্রদেশ সভাপতির

The-body-of-the-slain-councilor-came-home

শম্পা গুপ্ত : কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের কাউকেই এখনও গ্রেপ্তার করতে পারে নি পুলিশ। এই খুনের ঘটনায় ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মৃতের আত্মিয় পরিজনেরা। অবিলম্বে খুনীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সোমবার জেলা কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জেলা পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। এই খুনের ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবী করেছেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতো। 

উল্লেখ্য, রবিবার সন্ধেয় পুরুলিয়ার ঝালদা শহরের কাছে গোকুলনগর এলাকায় ঝালদা বাঘমুণ্ডী রোডে সান্ধ্য ভ্রমণ করার সময় বাইকে করে আসা ৩ দুষ্কৃতী ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তপন কান্দুর গুলি করে। মাথায় গুলি লেগে লুটিয়ে পড়েন তিনি। রাঁচির হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও তাঁকে আর বাঁচানো যায় নি। 

এই ঘটনার পরই ঝালদা ‌সহ গোটা পুরুলিয়া জেলা জুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে। খুনের ঘটনার প্রতিবাদে এবং দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে জেলা কংগ্রেসের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার পুরুলিয়া জেলা জুড়ে ১২ ঘণ্টা বনধ এর ডাক দেওয়া হয়েছে। যদিও বনধ এর আওতা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের।  

এদিকে, মৃত কংগ্রেস কাউন্সিলরের পরিবারকে সমবেদনা জানাতে সোমবার রাঁচি হয়ে ঝালদায় কাউন্সিলরের বাড়িতে যান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। তাঁর নেতৃত্বেই এদিন সকাল থেকে মৃত  কাউন্সিলরের দেহ রাঁচি থেকে ঝালদায় নিয়ে আসার তোড়জোড় শুরু হয়। এদিন প্রদেশ সভাপতির সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন তপনবাবুর পরিবারের সদস্যরা। 

সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে ক্ষোভে ফেটে পরেন অধীররঞ্জন চৌধুরী। তিনি বলেন, 'ঝালদা একটি ছোট পুরসভা। এখানেও ক্ষমতা দখলের জন্য খুন করা হচ্ছে।' ‌এই খুনের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। তপন কান্দু খুনের পেছনে তৃণমূলের স্বার্থ আছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।  

স্বামীকে অকালে হারিয়ে শোকে দিশাহারা তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু। তিনিও এবারের পুর নির্বাচনে ঝালদা পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জয়ী হয়েছেন। স্বামীর খুনের ঘটনায় পূর্ণিমা কান্দু সরাসরি  সরাসরি ঝালদা থানার আই সি এবং কয়েকজন তৃণমূল নেতা যুক্ত রয়েছে বলে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, 'এই খুনের ঘটনায় যেহেতু শাসক দল যুক্ত রয়েছে, তাই পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেবে না।'‌ 

এই প্রসঙ্গে জেলা পুলিশ সুপার এস সেলভামুরুগান জানান, '‌এই খুনের ঘটনা সম্পর্কিত যে কোনও প্রমাণ আমাদের কাছে হাজির করা যেতে পারে। পুলিশ তার ভিত্তিতে তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে।'‌ 

এদিন বিকেলে নিহত তপন কান্দুর দেহ ঝালদা শহরে পৌঁছানোর পর মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী, জেলা সভাপতি নেপাল মাহাতো সহ অন্যান্য কংগ্রেস নেতৃত্ব এবং বহু সাধারণ মানুষ। এরপর মৌন মিছিল করে দেহ নিয়ে যাওয়া হয় তাঁর বাড়িতে। 




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন