সমকালীন প্রতিবেদন : সোনার বিস্কুট পাচার করতে গিয়ে বিএসএফকে দেখে তা ফেলে রেখে পালালো এক পাচারকারী। বৃহস্পতিবার সকালে উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা সীমান্ত থেকে এই সোনা পাচারের চেষ্টা হচ্ছিল। সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর তৎপরতায় সেখান থেকে ৪০ টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার হয়েছে। যার মূল্য প্রায় আড়াই কোটি টাকা। সাম্প্রতিককালে এত বেশি পরিমাণে সোনা আটকের ঘটনা ঘটেনি বলে জানা গেছে।
বিএসএফ সূত্রে জানা গেছে, এদিন সকাল আটটা নাগাদ গাইঘাটা সীমান্তের ডোবারপাড়া বর্ডার আউটপোস্টে কর্মরত ছিলেন বিএসএফের ১৫৮ নম্বর ব্যাটালিয়নের জওয়ানেরা। এই সময় এক ব্যক্তি কে চোরাপথে বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করতে দেখে সন্দেহ হয় বিএসএফের। ওই ব্যক্তিকে দাঁড়াতে বললে সে একটি গামছা রেখে পালিয়ে যায়। এরপর বিএসএফ জওয়ানেরা
ওই ব্যক্তির ফেলে যাওয়া গামছার মুখ খুলতেই তার থেকে উদ্ধার হয় ৪০ টি সোনার বিস্কুট। উদ্ধার হওয়া সোনার বিস্কুটের ওজন ৪ কেজি ৬০০ গ্রাম, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ২ কোটি ৪২ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকা। উদ্ধার হওয়া সোনার বিস্কুট এরপর বিএসএফের পক্ষ থেকে শুল্ক দপ্তরের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এত পরিমান সোনার বিস্কুট পাচারের এই চক্রের সন্ধান পেতে চেষ্টা চালাচ্ছে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী।
উল্লেখ্য, এর আগে বনগাঁ, বাগদা, গাইঘাটা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে সোনার বিস্কুট পাচারের চেষ্টা একাধিক আটকে দিয়েছে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী। গাইঘাটা সীমান্তের অনেক অংশেই এখনও পর্যন্ত কাটাতারের বেড়া দেওয়ার কাজ শেষ হয় নি। আর তারই সুযোগ নিচ্ছে পাচারকারীরা।
সীমান্তরক্ষী বাহিনীর দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের জনসংযোগ আধিকারিক ডিআইজি সুরজিত সিং গুলেড়িয়া জানিয়েছেন, এদিন ঘন জঙ্গল এবং ইছামতি নদীকে কাজে লাগিয়ে এই সোনা পাচারের চেষ্টা চালাচ্ছিল এক পাচারকারী।
বিএসএফ কর্তা আরও জানান, এই ধরনের সোনা পাচারকারীদের বিরুদ্ধে সীমান্তরক্ষী বাহিনী এভাবেই কড়া পদক্ষেপ করবে। পাচারকারীদের এই ধরনের কার্যকলাপ কোনভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।
সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গোয়েন্দা বিভাগ এই ধরনের পাচারকারীদের বিরুদ্ধে সব সময় তথ্য সংগ্রহের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এই সোনা পাচারের সঙ্গে যুক্ত সিন্ডিকেটের সন্ধান চালানো হচ্ছে। এদিনের এই সোনা উদ্ধারের ঘটনা বিএসএফের বড় সাফল্য বলে মনে করা হচ্ছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন