Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

বৃহস্পতিবার, ১৭ মার্চ, ২০২২

দোলের আগেই বসন্ত উৎসব নানা দিকে

 ‌

Before-the-swing-the-spring-festival-is-in-many-directions

সমকালীন প্রতিবেদন : বসন্তের শুরুতেই পুরুলিয়া জেলা ‌ভরে ওঠে পলাশ ফুলে। রঙিন হয়ে ওঠে গোটা জেলার পথঘাট। রাঙামাটির এই অঞ্চল তখন আরও রঙিন হয়ে ওঠে। বসন্তকে আহ্বান জানাতে তখন মেতে ওঠেন জেলার মানুষ। কিন্তু গত দুবছর করোনার আতঙ্কে মানুষ বসন্তকে সেভাবে উদযাপন করতে পারেননি। 

এবার অতিমারীর সেই আতঙ্ক কাটিয়ে জেলা জুড়ে শুরু হয়েছে বসন্তের আহ্বান। শহরের উপকণ্ঠে নীলকণ্ঠ গার্ডেনে অনুরাগ সংস্থার উদ্যোগে এলাকার মানুষ মেতে উঠলেন বসন্ত উৎসবে। পরস্পরকে রাঙ্গিয়ে দেবার পাশাপাশি পরিবেশিত হল রবীন্দ্র নৃত্য সহ নানা লৌকিক নাচ। 

বনগাঁর নো ম্যানস ল্যান্ডের পক্ষ থেকে এবছরও ভবানীপুর গৌড়ীয় মঠ প্রাঙ্গনে বসন্ত উৎসবের আয়োজন করা হয়। স্থানীয় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংস্থার পাশাপাশি আদিবাসী একটি সংগঠনের সদস্যারাও তাঁদের নৃত্যের মাধ্যমে বসন্তকে আহ্বান জানান। গোটা দিন ধরে আম্রকুঞ্জে এই অনুষ্ঠান চলে। 

বসন্ত উৎসব পালন করল পুরুলিয়ার সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত টিচার্স ট্রেনিং কলেজ। বৃহস্পতিবার কলেজ ক্যাম্পাসের ভেতরেই বসন্ত উৎসবে মেতে উঠলেন বিএড কলেজের পড়ুয়ারা। নাচ, গান, আবৃত্তির পাশাপাশি সমাবেশের মধ্য দিয়ে শান্তিনিকেতনের ধাঁচে বসন্ত উৎসব পালন করা হলো পুরুলিয়ার বিএড কলেজে। কলেজ পড়ুয়ারা ছাড়াও কলেজের শিক্ষক, শিক্ষিকারা অংশগ্রহণ করেন এই বসন্ত উৎসবে। 

বনগাঁর সুসাংস্কৃতিক মনন এর পর থেকে বনগাঁর পাবলিক লাইব্রেরী ময়দানে বসন্ত উৎসবের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানের নাম দেওয়া হয় বাসন্তিকা। বনগাঁর বিভূতিভূষণ বি এড কলেজের পক্ষ থেকেও বসন্ত উৎসবের আয়োজন করা হয়। 

বসন্ত উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ ন্যারা পোড়া। দোল উৎসবের আগের রাতে রঙিন হয়ে উঠলো মধ্যমগ্রামের গঙ্গানগর এলাকা। নানান রঙের আবিরে রাঙিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি বিশেষ আকর্ষণ ছিলো ন্যারা পোড়া। কোভিড পরিস্থিতি কিছুটা সামলে বৃহস্পতিবার সন্ধেয় ১২ তম বসন্ত উৎসব উৎসব উদযাপন হল বসন্ত কমিটির উদ্যোগে।



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন