শম্পা গুপ্ত : চোলাই মদ বিক্রির অভিযোগে আবগারী দপ্তরের হাতে ধৃত এক যুবকের রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হল। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, মারধোরের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। মৃত যুবকের নাম শিকারী মুড়া (২৭)। পুরুলিয়া জেলার ঝালদা এলাকার এই ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, গত ১৬ ফেব্রুয়ারী বাঘমুন্ডি থানার রবিডি গ্রামে অভিযান চালান ঝালদা আবগারী দপ্তরের আধিকারিকেরা। সেখানে চোলাই মদ তৈরি এবং বিক্রি করার অভিযোগে শিকারী মুড়া নামে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ঝালদা আবগারী দপ্তরে।
শিকারী মুড়ার ভাই লাল্টু মুড়ার অভিযোগ, 'দাদাকে নিয়ে যাওয়ার সময় বেধড়ক মারধোর করা হয়। ২০ ফেব্রুয়ারী বাঘমুন্ডি থানা সূত্রে আমরা খবর পাই যে, দাদা শিকারী মুড়া মারা গেছেন।' উল্লেখ্য, সেদিনের অভিযানে শিকারি মুড়ার কাছ থেকে ২০ লিটার অবৈধ মদ উদ্ধার হওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করে আবগারী দপ্তর।
এদিকে, মানভুম ভূমিজ মুন্ডা কল্যান সমিতির সভাপতি পরেশ সিংবাবু জানান, 'শিকারী মুড়ার মৃত্যুর আসল কারণ আমরা জানতে চাই। আমাদের কাছে খবর আছে, মারধোরের ফলে তার মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর আসল কারণ উদ্ধার করার পাশাপাশি তার এই মৃত্যুর জন্য যারা দায়ী, তাদের কঠোর শাস্তির দাবি করছি।'
যদিও ঝালদা আবগারী দপ্তরের ওসি মইদুল ইসলাম মারধোরের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, মারধোরের অভিযোগ মোটেই ঠিক নয়। তিনি সুস্থ না দেখলে আদালত তো আপত্তি জানাতো। হয়তো শারীরিক অন্য কোনও সমস্যার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। ময়না তদন্তের পর মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।'
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সংসারের একমাত্র উপার্জনশীল সদস্য ছিল শিকারী মুড়া। তার এই অকাল মৃত্যুতে অসহায় হয়ে পরেছে তার পরিবার। মানভুম ভূমিজ মুন্ডা কল্যান সমিতির পক্ষ থেকে প্রশাসনের কাছে তার পরিবারের কোনও সদস্যকে চাকরির ব্যবস্তা করার দাবি তোলা হয়েছে। শিকারী মুড়ার মৃত্যুর বিচার চেয়ে এবংর তার পরিবারের একজনের চাকরির দাবিতে পরিবার এবং গ্রামবাসীরা ঝালদা আবগারী দপ্তর ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন