সমকালীন প্রতিবেদন : দেনাপাওনার হাত থেকে নিস্তার পেতে খুন করে পালিয়ে বেরাচ্ছিল খুনী। অবশেষে মোবাইলের লোকেশন ট্রাক করে খুনের ঘটনার ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই খুনীকে গ্রেপ্তার করতে সমর্থ হল পুলিশ। ধৃতকে আদালতে তোলার পর বিচারকের নির্দেশে পুলিশ তাকে ১০ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে খুনের ঘটনার তদন্তের কাজ চালিয়ে যেতে চাইছে। পাশাপাশি, খুনের ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্রটি উদ্ধারের চেষ্টা করছে পুলিশ। অভিযুক্তকে নিয়ে খুনের ঘটনার পুনর্নির্মান করবে পুলিশ।
সোমবার সন্ধেয় হাবড়ার শ্রীপুর নগরউখড়া মোড়ের কাছে নিজের দোকানের ভেতরে খুন হন ব্যবসায়ী পার্থসারথি বিশ্বাস। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, প্রতিবেশী স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমীর সরকার ওরফে সাধুর সঙ্গে প্রচুর টাকার দেনাপাওনা সংক্রান্ত সমস্যা চলছিল পার্থসারথির সঙ্গে। সেই টাকাপয়সা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দুজনের মধ্যে বিবাদ চলছিল। এই নিয়ে বিরক্ত হতে থাকে সমীর। দেনাপাওনার এই সমস্যা থেকে পুরোপুরি মুক্তি পেতে পার্থসারথিকে খুনের চক্রান্ত করে সমীর। সেই উদ্দেশ্যে সম্প্রতি সে একটি ধারালো অস্ত্র কেনে।
পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সোমবার সন্ধেয় পার্থসারথির দোকানে যায় সমীর। বিশেষ কথা আছে বলে তাঁকে নিয়ে দোতলার ঘরে যায় সমীর। দুজনের মধ্যে কথা চলাকালীন হঠাৎই সমীর ধারালো অস্ত্র বের করে পার্থসারথির গলায় আঘাত করে। বাঁচার জন্য চিৎকার শুরু করেন পার্থসারথি। তাঁর চিৎকার শুনে দোকানের কর্মীরা দোতলায় গিয়ে রক্তাক্ত পার্থসারথিকে উদ্ধার করে হাবড়া হাসপাতালে নিয়ে যান। কিছুক্ষণ চিকিৎসা চলার পর সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
এই ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত সমীর নিজের স্কুটি নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে বেরাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত সে বাদুড়িয়া থানার কানুপুর দক্ষিণ চাতরা এলাকায় এক গুরুভাইয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। হাবড়া থানার পুলিশ তার মোবাইলের লোকেশন ট্রাক করে তার অবস্থান জানতে পারে। সেই অনুযায়ী মঙ্গলবার গভীর রাতে হাবড়া থানার আইসি অরিন্দম মুখার্জীর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল প্রথমে গোটা বাড়িটি ঘিরে ফেলে। পুলিশ হানা দিয়েছে টের পেয়ে বাড়ির ছাদ দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে সমীর। কিন্তু শেষপর্যন্ত পুলিশের হাতে ধরা পরে যায় সে। বুধবার তাকে বারাসত আদালতে তোলা হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন