ক্লাস শুরু
করোনা পরিস্থিতির কারণে দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকার পর অবশেষে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে মঙ্গলবার থেকে রাজ্যের স্কুল, কলেজগুলিতে পঠনপাঠন শুরু হল। যদিও প্রথমদিন স্কুলে পড়ুয়াদের উপস্থিতির সংখ্যা ছিল খুবই কম। সরকারি ঘোষনা অনুযায়ী এদিন সকাল সাড়ে নটা থেকে স্কুলে প্রবেশ করতে শুরু করে নবম এবং একাদশ শ্রেণীর পড়ুযারা। এক ঘন্টা পর স্কুলে আসে দশম এবং একাদশ শ্রেণীর পড়ুয়ারা। এব্যাপারে বনগাঁর একটি স্কুলের একাদশ শ্রেণীর ছাত্ররা বলে, দীর্ঘদিন পর স্কুলে আসতে পেরে, বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে পেরে ভালোই লাগছে। অনলাইনের বদলে অফ লাইনে ক্লাস করার সুযোগ পেয়ে খুশি তারা। স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতিতে উজ্জীবিত শিক্ষক–শিক্ষিকারাও। এদিন স্কুল চত্বরে প্রবেশের আগে গেটেই পড়ুয়াদের থার্মাল গান দিয়ে শরীরের তাপমাত্রা মাপার পাশাপাশি হাতে স্যানিটাইজার দেওয়া হয়। স্কুলের পাশাপাশি কলেজগুলিতেও স্ব্যাস্থবিধি মেনে ক্লাস শুরু হল।
দুয়ারে রেশন
মঙ্গলবার বিকেলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী কলকাতার নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে দুয়ারে রেশন প্রকল্পের সূচনা করেন। সেই মুহূর্তে পুরুলিয়া জেলা শাসকের সভাকক্ষে ভার্চুয়াল উদ্বোধন মুহূর্তে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক রাহুল মজুমদার, অতিরিক্ত জেলাশাসক মুফতি শামিম সৌকত, খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ মনোজ সাহাবাবু, জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ সৌমেন বেলথরিয়া প্রমুখ। এই প্রকল্প যাতে যথাযথ রূপায়ণ হয়, তারজন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি বিশেষ পুস্তিকা প্রকাশ করা হয়। সরকারি সূত্রে খবর, এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্য জুড়ে প্রতি মাসে ১০ কোটি ৪০ লক্ষ মানুষ বাড়িতে বসে রেশন সামগ্রী পাবেন। এদিনই পুরুলিয়ায় এই প্রকল্পের ৫ টি গাড়ীর উদ্বোধন করেন জেলাশাসক। এই গাড়িগুলির মাধ্যমে উপভোক্তাদের বাড়ি বাড়ি রেশন পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জেলাশাসক জানিয়েছেন।
নতুন মডেল
দর্শনার্থীদের কাছে আরও আকর্ষনীয় করে তুলতে মঙ্গলবার দুপুরে পুরুলিয়ার বিজ্ঞান কেন্দ্রে একটি নতুন মডেলের উদ্বোধন করলেন অতিরিক্ত জেলা শাসক মুফতি শামিম সওকত। ম্যাজিক জল কলের নতুন এই মডেল উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পুরুলিয়া পুরসভার প্রশাসক নবেন্দু মাহালী এবং জেলা বিজ্ঞান কেন্দ্রের আধিকারিক ধ্রুবজ্যোতি চট্টোপাধ্যায়। এদিন ধ্রুবজ্যোতিবাবু জানান, বড়রা আজ থেকে স্কুলে যাতায়াত শুরু করল। কিন্তু ছোটদেরও যাতে মন খারাপ না হয়, তারজন্য এই আয়োজন। বিজ্ঞান কেন্দ্রের পক্ষ থেকে আজ সবার জন্য এই উপহার তুলে দেওয়া হল। জেলার অতিরিক্ত জেলা শাসক মুফতি শামিম সওকত জানান, রাজ্যের পর্যটনে পুরুলিয়া এক অন্য মাত্রা যোগ করেছে। যারা অযোধ্যা পাহাড় সহ জেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ঘুড়তে আসেন, তাঁরা পুরুলিয়া জেলা বিজ্ঞান কেন্দ্রে ঘুড়তে এলে নতুন এই মডেল দেখে আনন্দ পাবেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন