সমকালীন প্রতিবেদন : বৃষ্টির ভ্রুকুটিকে উপেক্ষা করে ষষ্ঠী থেকেই বনগাঁ শহরের পুজো মন্ডপগুলিতে দর্শনার্থীদের ঢল নামে। করোনার বিষয়ে সরকারি নানা বিধিনিষেধ থাকলেও এক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে প্যান্ডেলে, রাস্তায় মাস্ক ছাড়াই প্রতিমা দর্শনে বের হতে দেখা গেল অনেককেই। ফলে এই পরিস্থিতি চিন্তায় ফেলছে, আগামীদিন করোনার সংক্রমণ কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে।
এবছরও শারদ সম্মান অর্জন করেছে বনগাঁর আয়রণগেট স্পোর্টিং ক্লাব। চড়কতলা স্পোটিং ক্লাবের পুজো ৫৬ বছরে পরলো। তাদের এবারের পুজোর থিম গঙ্গাকে ভগীরথের মর্তে আনয়ন। বনগাঁর বিএস ক্লাব তাদের ২১ তম বর্ষে 'প্রদীপ জ্বালিয়ে মাটির ঘরে মা এসেছে আলো করে' এই থিমএ পুজোমন্ডপ সাজিয়েছে।
বনগাঁর এগিয়ে চলো সংঘ তিন নম্বর টালিখোলার পুজোর বয়স ৫৪ বছর। বিহারের একটি রাজবাড়ির আদলে তৈরি মন্ডপের বিশেষ আকর্ষণ জীবন্ত মডেলের মাধ্যমে 'লক্ষ্মীর ভান্ডার', 'স্বাস্থ্য সাথী', 'সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ'। অভিযান সংঘের এবারের থিম প্রহরী। মন্ডপ নির্মাণ হয়েছে গাছের শুকনো ডাল দিয়ে। তাদের এবার ৭৬ বছর।
বনগাঁ গান্ধীপল্লী বিবেকানন্দ স্পোর্টিং ক্লাব ৭৩ বছরে পা দিল। থিম স্বল্প সঞ্চয়। লক্ষ্মীর ঘটের আদলে মন্ডপ নির্মিত হয়েছে। হাতে আঁকা ছবি আর ডাকের সাজে সজ্জিত প্রতিমা। বনগাঁ ১২ পল্লী স্পোর্টিং ক্লাবের এবার ৪৯ তম বর্ষ। থিম দুয়ারে সরকার। করোনা বিধি মেনে দর্শনার্থীরা প্রবেশ করছেন এবং প্রবেশপথে মাক্স, স্যানিটাইজার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
ঐক্য সম্মিলনী এবছর একেবারে ছোট আকারে পুজোর আয়োজন করেছে। প্রতাপগড় স্পোর্টিং ক্লাব প্রজাপতির আদলে পুজো মন্ডপ তৈরি করেছে। এবছরও পুজোর মাঠে নানা স্টল বসেছে। বলাকা সমিতির আগামী বছর ৭৫তম বর্ষ। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গেলে তারা আগামী বছর বড় আকারে পুজোর আয়োজন করবে। তাই এবছর তারা ছোট আকারে পুজোর আয়োজন করেছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন