দেবাশীষ গোস্বামী : নবরূপে সেজে উঠল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। ১৬৪ বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় নতুন রূপে সেজে আবার সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হলো।
মাঝে একটা সময় ছিল, যখন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভবনে গেলে দেখা যেত অন্ধকারাচ্ছন্ন ক্লাসরুম, নোংরা স্যাঁতস্যাঁতে করিডর বা দুর্গন্ধযুক্ত শৌচাগার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই পরিবেশ দূর করার জন্য বিভিন্ন ভবনগুলি নতুন করে সংস্কার করার সিদ্ধান্ত নেয়।
সেইমতো ২০১৭ সাল থেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পূর্ত দপ্তর বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি যথাক্রমে দ্বারভাঙ্গা, সেনটিনারি ও আশুতোষ ভবনের কাজে হাত দেয়। সেই সময় থেকে এই ভবনগুলিতে কাজের সুবিধার্থে বাইরের লোকের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়।
কাজ শেষে গত সপ্তাহ থেকে আবার জনসাধারণের প্রবেশের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি, সিন্ডিকেট রুম, টিচারস রুম, ছাত্রদের ক্লাসরুম ও শৌচাগারগুলির আধুনিক রূপ দেওয়া হয়েছে। সব কাজের মধ্যেই একটা শৈল্পিক ছোঁয়া লেগেছে।
এই প্রসঙ্গে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য ড: সোনালী চক্রবর্তী ব্যানার্জি বলেন, 'আমাদের এই সংস্কারের সম্পূর্ণ কাজটি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পূর্ত দপ্তর করেছে।' তিনি এই কাজের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পূর্ত দপ্তর, বিখ্যাত শিল্পী শুভাপ্রসন্ন ও স্থপতি পার্থ দাস কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
এছাড়াও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাগত মানে প্রভূত উন্নতি হয়েছে। সারা ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মূল্যায়নের যে তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, তাতে এ বছর গোটা দেশের মধ্যে তারা চতুর্থ স্থান লাভ করেছে। ২০১৭ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয় ১৬ তম স্থানে ছিল।
আজও তো কলেজস্ট্রিটের দিকের গেট ফুল বন্ধ দেখলাম।খুলেছে কি গেট,খোঁজ নিলে ভাল হত।
উত্তরমুছুন