সমকালীন প্রতিবেদন : বুধবার পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করল ৪০ টন পদ্মার ইলিশ। ট্রাক বদলে এই ইলিশ রওনা দিল কলকাতার পাইকারি বাজারের উদ্দেশ্যে। আজ থেকে আগামী ১০ অক্টোবর পর্যন্ত প্রায় প্রতিদিনই এই মাছ ভারতে আমদানি হতে থাকবে। বাংলাদেশের এই ইলিশ আমদানির খবরে খুশির হাওয়া ইলিশপ্রিয় বাঙালীদের মনে। খুশি মাছ ব্যবসায়ীরাও।
ভারতে বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের বাঙালীদের কাছে বাংলাদেশের পদ্মার ইলিশের চাহিদা বরাবরই রয়েছে। একসময় বর্ষার শুরু থেকে প্রতিদিন টন টন ইলিশ আমদানি হতো ভারতে। কোটি কোটি টাকার ব্যবসা হতো। গত কয়েক বছর ধরে কারবারে বাধা পরেছে। বাংলাদেশ সরকারের নিষেধাজ্ঞায় সেদেশ থেকে ইলিশ মাছ আসা বন্ধ রয়েছে।
অনেক আবেদনের পর গত বছর পুজোর আগে ২ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে রপ্তানী করার অনুমতি দেয় বাংলাদেশ সরকার। এবছরও যাতে ইতিশ রপ্তানীতে বাংলাদেশ সরকার অনুমতি দেয়, তারজন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন এদেশের ইলিশ আমদানিকারীরা। অবশেষে সেই আবেদনে সাড়া দেয় বাংলাদেশ সরকার।
২০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের বানিজ্য মন্ত্রনালয়ের উপ সচিব তানিয়া ইসলাম এক নির্দেশিকা জারি করে জানান, বাংলাদেশ সরকার পুজো উপলক্ষে এবছর ভারতে ২০৮০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানীর অনুমতি দিল। ৫২ টি সংস্থার মাধ্যমে (প্রত্যেকের জন্য ৪০ মেট্রিক টন বরাদ্দ) এই মাছ ভারতে রপ্তানী হবে। ১০ অক্টোবর পর্যন্ত এই মাছ রপ্তানী করা যাবে।
ভারতের ইলিশ আমদানিকারী সংস্থার পক্ষে এক ক্লিয়ারিং এজেন্ট জানান, 'বাংলাদেশ সরকারের জারি করা নির্দেশিকার ভিত্তিতে আজ প্রথম পর্যায়ে ১৪ টি ৪০ টন ইলিশ ভারতে এলো। এদিন সকালেই ইলিশ বোঝাই ট্রাক বাংলাদেশের বেনাপোল সীমান্তে এসে পৌঁছায়। এরপর সমস্ত সরকারি নিয়ম সম্পন্ন করে এদিন সন্ধেয় পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে মাছের ট্রাক ভারতীয় সীমান্তে এসে পৌঁছায়।'
পশ্চিমবঙ্গের ফিস ইমপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক আনোয়ার মাকসুদ জানান, 'বাংলাদেশ সরকার আমাদের আবেদনে সাড়া দিয়ে ভারতে ইলিশ রপ্তানীতে অনুমতি দেওযায় আমরা কৃতজ্ঞ। আমরা আশা করবো, প্রতি বছর এইভাবে তারা অনুমতি দেবেন।'
সংস্থার সভাপতি অতুল দাস বলেন, 'এবছর যে ইলিশ আমদানি হচ্ছে, তার ওজন ৮০০ গ্রাম থেকে দেড় কিলোগ্রাম। পাইকারি বাজারে এত দাম কিলোপ্রতি ৯০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা।'
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন