সমকালীন প্রতিবেদন : প্রেমিকার কারণে প্রেমিক আত্মহত্যা করেছে, সেই সন্দেহে প্রেমিকা গৃহবধূকে গাছের সঙ্গে বেঁধে, মারধোর করে মাথার চুল কেটে নেওয়া হলো। শুধু তাই নয়, গাছে বেঁধে রাখা অবস্থায় প্রকাশ্যে তার গলায় জুতোর মালা পরিয়ে দেওয়া হল। পরে পুলিশ গিয়ে ওই বধূকে উদ্ধার করে। মধ্যযুগীয় এই বর্বরতার ঘটনা ঘটল উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানা এলাকায়।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গাইঘাটা থানার বড়া গ্রামের যুবক সুজয় মজুমদারের (২৬) সঙ্গে এলাকার এক গৃহবধুর প্রায় ৬ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এই নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যেই বিবাদ ছিল। পাশাপাশি, গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ওই গৃহবধূর সঙ্গে আরও অনেক যুবকের সম্পর্ক ছিল। আর তাই নিয়ে সুজয়ের সঙ্গে ওই বধূর মাঝেমধ্যেই মনমালিন্য হতো।
বৃহস্পতিবার ভোর রাতে শিয়ালদা–বনগাঁ রেল শাখার গাইঘাটার বড়া এলাকায় হঠাৎই ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন সুজয়। এদিন সকালে বড়ার রেলগেট এলাকায় লাইনের উপরে সুজয়ের মৃতদেহ পরে থাকতে দেখেন এলাকার মানুষ। খবর পেয়ে সুজয়ের দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় রেল পুলিশ।
এদিকে, সুজয়ের এই আত্মহত্যার খবর ছড়িয়ে পরতেই গ্রামে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ওই গৃহবধূর কারণেই সুজয় আত্মহত্যা করেছে, এমন সন্দেহে এদিন সকালে ওই গৃহবধূকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে এসে ক্ষুব্ধ এলাকার মানুষ পাড়ার মোড়ে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে তার চুল কেটে নিয়ে মারধর করে। এরপর তার গলায় পড়িয়ে দেওয়া হয় জুতোর মালা।
স্থানীয়দের দাবি, ওই গৃহবধূর সঙ্গে এলাকার একাধিক ছেলের সম্পর্ক ছিল। পাশাপাশি, প্রায় ৬ বছর ধরে সুজয়ের সঙ্গেও সম্পর্ক চালিয়ে গেছে ওই বধূ। তা মেনে নিতে পারছিল না সুজয়। আর তাই, অভিমানে, রাগে সুজয় আত্মহত্যা করেছে, এমনই দাবি এলাকার মানুষের। খবর পেয়ে গাইঘাটা থানার পুলিশ এসে গৃহবধূকে উদ্ধার করে। স্থানীয়রা গৃহবধূ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন