Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

শুক্রবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১

আদিবাসী এলাকায় পুলিশের উদ্যোগে চালু হলো বিশেষ পাঠশালা

 

Special-school-was-started

সমকালীন প্রতিবেদন : পেটের টানে শৈশব বিপন্ন। দুপয়সা রোজগার করতে ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের স্কুলের বদলে যেতে হচ্ছে পাথর খাদানে পাথর ভাঙতে। আদিবাসী এলাকার এইসব ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ গড়তে এবারে এগিয়ে এলো বীরভুম জেলা পুলিশ প্রশাসন। তাদের উদ্যোগে গড়ে তোলা হলো বিশেষ পাঠশালা।

বীরভূমের মোহাম্মদ বাজার থানা এলাকায় সিংহভাগ বাসিন্দাই আদিবাসী সম্প্রদায়ের‌। যাদের মূল পেশা পাথর খাদান অঞ্চলে শ্রমিকের কাজ। বর্তমান করোনাকালে পরিবারের আর্থিক অনটন দূর করতে পাথর ভাঙার কাজে যুক্ত হয়ে পরছে স্কুল পড়ুয়ারাও। স্কুল বন্ধ থাকায় ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে তাই উদ্বিগ্ন ওই এলাকার শিক্ষকেরা।  আদিবাসী এলাকায় ছেলেমেয়েদের প্রশিক্ষণ দিয়ে চাকরিতে যোগদানের বিষয় সুনিশ্চিত করতে ইতিমধ্যেই বীরভূম পুলিশের উদ্যোগে শুরু হয়েছিল স্বপ্নের উড়ান প্রকল্প। 

এবারে স্কুলছুট আদিবাসী ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা চালানোর জন্য পুলিশের উদ্যোগে চালু করা হল বিশেষ পাঠশালা। বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী ঘোষণা করলেন এই উদ্যোগের কথা। সম্প্রতি আদিবাসী অধ্যুষিত হরিণসিঙ্গা ফুটবল ময়দানে এমন একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলা সভাধিপতি বিকাশ রায় চৌধুরী, জেলা পরিষদের মেন্টর অভিজিৎ সিং সহ অন্যান্যরা।

প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে, আদিবাসী অঞ্চলের তিনটি জায়গায় এই স্কুল চালাবে জেলা পুলিশ। আর শিক্ষকের ভূমিকায় থাকবেন পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা। তাঁদের হাতে পড়ানোর জন্য বোর্ড, চক, ছাত্রের বসার আসন সহ বিভিন্ন সামগ্রী তুলে দেওয়া হ‌য়েছে।  বীরভূমের জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্র নাথ ত্রিপাঠী‌র আশা, এই পাঠশালা সঠিকভাবে পরিচালিত হলে আগামীদিনে এখানকার আদিবাসী অঞ্চলের আর্থ–সামাজিক পরিস্থিতির বদল ঘটবে। পুলিশের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন জেলার শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ।





কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন