Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

বুধবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১

রাজ্যে পরীক্ষামূলকভাবে চালু দুয়ারে রেশন প্রকল্প

 

Ration-project-at-the-door

সমকালীন প্রতিবেদন : ‌আজ বুধবার থেকে সারা রাজ্যে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হল দুয়ারে রেশন প্রকল্প। রাজ্যের বিভিন্ন জেলার ১৫ শতাংশ রেশন ডিলারকে বাছাই করে তাঁদের মাধ্যমে এই পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হল এই প্রকল্প। প্রাথমিকভাবে এটি সফল হলে পরবর্তীতে রাজ্য জুড়ে সবার জন্য এই প্রকল্প শুরু হবে। 

২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জী নির্বাচনী ইস্তেহারে ঘোষনা করেছিলেন, জয়ী হয়ে ফের ক্ষামতায় এলে রাজ্যের মানুষের বাড়িতে বাড়িতে রেশন সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হবে। এই অনুযায়ী এখন শুরু হয়েছে সেই প্রকল্প। নির্ধারিত রেশন ডিলারেরা এদিন রেশন সামগ্রী নিয়ে পৌঁছে যান গ্রাহকদের বাড়ির দোরগোড়ায়। এদিন অনেক জেলাতেই জেলা শাসকেরা নিজে হাতে রেশন সামগ্রী তুলে দেন গ্রাহকদের হাতে।

এদিন বীরভূম জেলার ১৯ টি ব্লকে এবং ৬ টি পুর এলাকায় ১৪৫ জন রেশন ডিলারের মাধ্যমে দুয়ারে রেশন প্রকল্প চালু হল। আজ সিউড়ির তিলপাড়া অঞ্চলে সকাল সাতটা থেকে পরীক্ষামূলকভাবে দুয়ারে রেশন চালু হওয়ায় খুশি সাধারণ মানুষ। বীরভূমের মোহাম্মদ বাজার ব্লকের আঙ্গারগড়িয়াতে জেলা খাদ্য নিয়ামক তরুণ কুমার মন্ডলকে সঙ্গে নিয়ে জেলাশাসক বিধান রায় নিজে উপস্থিত হয়ে গ্রাহকের বাড়িতে পৌঁছে দেন রেশন সামগ্রী। উপস্থিত ছিলেন বিডিও অর্ঘ্য গুহ, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শম্পা মাহারা। দুয়ারে রেশন প্রকল্পের সুবিধা পেয়ে খুশি রাজু অংকুর ,নুপুর অংকুর এর মত গ্রাহকেরা। 

এদিন পুরুলিয়া ‌জেলাতো শুরু হয় দুয়ারে রেশন প্রকল্পের পরীক্ষামূলক পথচলা। এদিন জেলা শাসক রাহুল মজুমদার অযোধ্যা পাহাড়ের সোনাহারা গ্রামে উপস্থিত হয়ে স্থানীয় ভাষায় মানুষকে বোঝান দুয়ারে রেশন প্রকল্পের উপকারিতা। বিশেষ যন্ত্রের মাধ্যমে স্লিপ দেওয়ার পাশাপাশি গ্রাহকেরা রেশন সামগ্রী সংগ্রহ করেন। এছাড়াও, কলিঝরনা গ্রামে বাড়ির দাওয়ায় বসে দেওয়া শুরু হল রেশন। কার্ড অনুযায়ী গ্রাহকদের হাতে তাঁদের প্রাপ্য চাল, আটা, গম সংগ্রহ করেন।   পুরুলিয়া শহর সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তেও দুয়ারে রেশন কর্মসূচী কার্যকরী হয়।  প্রাকৃতিক দুর্যোগকে উপেক্ষা করে বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয় রেশন সামগ্রী।   

এদিকে, দুয়ারে রেশন ব্যবস্থা চালু করতে বিশেষভাবে উদ্যোগী হন খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ। বুধবার দুয়ারে রেশনের পাইলট প্রজেক্টের কাজ শুরু হলো উত্তর ২৪ পরগনা জেলাতেও। প্রাথমিকভাবে জেলার ১৭১ টি রেশন শপে এদিন থেকে দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে রেশন দেওয়ার কাজ শুরু হয়। সকাল থেকেই দুটি টোটো নিয়ে মধ্যমগ্রাম বীরেশপল্লীর রেশন ডিলার শংকর দত্ত বেরিয়ে পড়েন রাস্তায়। খাদ্য দপ্তরের আধিকারিক এবং পুলিশের উপস্থিতিতে দুয়ারে রেশন পরীক্ষামূলক ভাবে শুরু হলো। মানুষের মধ্যে স্বতঃস্ফূর্ত সারা ফেলেছে এই প্রকল্প। বাসিন্দারা জানান, এই ব্যবস্থার ফলে তাঁরা আজ যথেষ্ট উপকৃত। 

অন্যদিকে, এদিন বারাসতের বেশ কিছু ওয়ার্ডেও দুয়ারে রেশন পৌঁছান রেশন দোকানের মালিকরা। পাশাপাশি, এই জেলার অশোকনগরের বেশ কিছু বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হল রেশন সামগ্রী। মুখ্যমন্ত্রীর এই অভিনব উদ্যোগকে প্রশংসা করেন সাধারণ মানুষ। যদিও রেশন ডিলারদের একাংশের বক্তব্য, বাড়ি বাড়ি রেশন সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা হচ্ছে। সমস্যাগুলির কথা তাঁরা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন বলে জানান। 

এদিন বনগাঁ শহরের পাশাপাশি, বাগদা, বনগাঁ গ্রামীন,গাইঘাটাতেও দুয়ারে রেশনের পাইলট প্রজেক্টের কাজ শুরু হলো। প্রাথমিকভাবে উত্তর ২৪ পরগনা গাইঘাটার ইছাপুর-১, ইছাপুর-২, জলেশ্বর, চাঁদপাড়া, ফুলসরা ও ডুমা অঞ্চলের ৯ জন রেশন ডিলার বুধবার দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে রেশন দেওয়া শুরু করেছে। এদিন সকাল থেকেই রেশন ডিলাররা রেশন সামগ্রী নিয়ে বেরিয়ে পড়েন রাস্তায়। সাধারণ মানুষের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে পৌঁছে দেন রেশন সামগ্রী। এই পরিকল্পনাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন গ্রাহকেরা। বনগাঁ শহরে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ৩ জন ডিলারকে।





কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন