Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

শুক্রবার, ২০ আগস্ট, ২০২১

বাঘের থাবায় মৃত্যু মৎস্যজীবীর, প্রাণপন লড়াই করে দেহ উদ্ধার সঙ্গীদের

 

Fisherman-dies-in-tiger-paw

সৌদীপ ভট্টাচার্য : ‌মাছ শিকার করতে গিয়ে সুন্দরবনে বাঘের থাবায় মৃত্যু ‌হল এক মৎস্যজীবীর। প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে বাঘের মুখ থেকে মৃত ব্যক্তির দেহ ছিনিয়ে নিয়ে এলেন অন্য সঙ্গীরা। বাঘের সঙ্গে লড়াই করতে গিয়ে বাঘের গায়ের থেকে লোম ছিড়ে আনলেন মৎস্যজীবীরা। উওর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট মহকুমার সন্দেশখালি থানার সুন্দরবনের ঝিলার জঙ্গলের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি থেকে একদল মৎস্যজীবী বৃহস্পতিবার সকালবেলা মাছ ধরার উদ্দেশ্যে সাগরে পাড়ি দেন। মাছ ধরে ফিরে আসার সময় বিকেল পাঁচটা নাগাদ বাঘের আক্রমণের মুখে পরেন ওই মৎস্যজীবীদলটি। সুন্দরবনের বিশালাকার একটি বাঘ আচমকাই বছর ৫০ এর মৎস্যজীবী অন্ন দাসের উপর ঝাপিয়ে পরে। বাঘটি তাঁর ঘাড়ের উপর থাবা বসায়। তাতে তিনি পরে যান। ওই অবস্থাতেই বাঘটি তাঁকে ছো মেরে জঙ্গলের দিকে নিয়ে যাবার চেষ্টা করে। বাঘের থাবায় তখন রক্তাক্ত এবং জ্ঞান হারিয়েছেন অন্ন দাস।

চোখের সামনে নিজেদের এক সঙ্গীকে বাঘে টেনে নিয়ে যাওয়া দেখে বাকি মৎস্যজীবীরা বাঘের সঙ্গে লড়াই শুরু করেন। এইভাবে মরণবাচন লড়াই করার পর অবশেষে সঙ্গী মৎস্যজীবী অন্ন দাসের মৃতদেহ বাঘের মুখ থেকে উদ্ধার করতে সমর্থ হন বাকিরা। ততক্ষনে অবশ্য মৃত্যু হয়েছে ওই প্রৌঢ়ের। সঙ্গীর মৃতদেহ নিয়ে কোনওরকমে ফিরে আসেন তাঁরা। 

এদিনের ঘটনার প্রেক্ষীতে অবশ্য প্রশ্ন উঠছে, এই মৎস্যজীবীরা আদৌ জঙ্গলের বিধিনিষেধ অমান্য করে বাফার জোন থেকে কোর জোনে ঢুকেছিলেন কি না। এব্যাপারে তদন্ত করে দেখছে বনদপ্তর।

মৎস্যজীবী অন্ন দাসের মৃত্যুতে গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আগের দিনের সেই দৃশ্য মনে পরলে এখনও শিউরে উঠছেন ওই মৎস্যজীবীরা।




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন