সমকালীন প্রতিবেদন : বন্ধুত্বের আরও এক নজির সৃষ্টি করল ভারত। করোনা পরিস্থিতিতে ভারত সরকার ১০৯ টি অ্যাম্বুলেন্স পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ সরকারকে। শনিবার প্রথম পর্যায়ে তারই ৩০ টি অ্যাম্বুলেন্স পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করল।
জানা গেছে, পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এবছরের ২৬ ও ২৭ মার্চ দুদিনের বাংলাদেশ সফরে গিয়ে হরিচাঁদ–গুরুচাঁদ ঠাকুরের পীঠস্থান ওড়াকান্দিতে গিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই সফরের সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ১০৯ টি অত্যাধুনিত অ্যাম্বুলেন্স উপহার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
সেই প্রতিশ্রুতিমতো এবার ভারত থেকে অ্যাম্বুলেন্স বাংলাদেশে যাচ্ছে। জানা গেছে, শীততাপ নিয়ন্ত্রিত এই অ্যাম্বুলেন্সগুলিতে চিকিৎসা সংক্রান্ত অনেক সুবিধা রয়েছে। বাংলাদেশে বর্তমান ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতিতে এই অ্যাম্বুলেন্সগুলি খুবই কাজে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ভারতীয় দূতাবাস থেকে ইতিমধ্যেই এই সংক্রান্ত বার্তা জেলা প্রশাসন এবং পেট্রালোপের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে এসে পৌঁছেছে। প্রথম পর্যায়ের ৩০ টি অ্যাম্বুলেন্স পাঞ্জাব থেকে সড়ক পথে ২৭ জুলাই বনগাঁর মিলনপল্লী পার্কিং এলাকায় এসে পৌঁছায়। এরপর বাকি সরকারি পর্যায়ের নিয়মকানুনের বেড়াজাল টপকে আজ, শনিবার সকাল হুটার বাজাতে বাজাতে ৯ টা নাগাদ পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের মাটি স্পর্শ করে। এরপর বাংলাদেশ সরকার তার প্রয়োজন মতো এগুলি বিভিন্ন এলাকায় পাঠিয়ে দেবে।
প্রথম পর্যায়ে ৩০ টি অ্যাম্বুলেন্স এদিন বাংলাদেশে পৌঁছালো। বাকিগুলি ধাপে ধাপে যাবে। এব্যাপারে পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী জানান, 'জেলা ও মহকুমা প্রশাসনের সহযোগিতায় অতি দ্রুততার সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সগুলি এদিন বাংলাদেশে প্রবেশ করল। বনগাঁ পুর প্রশাসন এই অ্যাম্বুলেন্সগুলির কোনও পার্কিং চার্জ নেয় নি।'
ভারত এবং বাংলাদেশ– এই দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের বন্ধুত্বের প্রতিক হিসেবে অ্যাম্বুলেন্সগুলির গায়ে দুদেশের জাতীয় পতাকা আঁকা হয়েছে। ভারত সরকারের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। বিপদের দিনে বন্ধু দেশের পাশে দাঁড়াতে পেরে গর্বিত ভারতও। এই ঘটনায় এই দুই দেশের মধ্যে মৈত্রির সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে বলে মনে করছে অভিজ্ঞ মহল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন