Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

শনিবার, ৩১ জুলাই, ২০২১

হাড়োয়া কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি গ্রেপ্তার

 

Trinamool region president arrested

সৌদীপ ভট্টাচার্য : হাড়োয়া কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত মোহনপুর অঞ্চল সভাপতি যজ্ঞেশ্বর প্রামানিক কে শুক্রবার রাতে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর গন্ডগোলের জেরে দিন কয়েক আগে হাড়োয়া এলাকায় যে খুনের ঘটনা ঘটেছিল, তার প্রেক্ষিতে এদিন যজ্ঞেশ্বর কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

২১ জুলাই শহীদ দিবসের দিন বসিরহাট মহকুমার হাড়োয়া থানার মোহনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের টেংরামারী গ্রামে  জায়েন্ট স্ক্রিনে তৃণমূলের ভার্চুয়াল সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির বক্তব্য শোনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ, ভাঙচুর, বোমাবাজি, গুলিতে মৃত্যু হয় দুই তৃণমূল কর্মীর। 



ওই ঘটনায় বৃদ্ধা লক্ষ্মী বালা ‌ও বছর ২৮ এর যুবক  সন্ন্যাসী সরদারের গুলিতে মৃত্যু হয়। পাশাপাশি এই ঘটনায় তৃণমূলের ৮ কর্মী আহত হয়ে হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি হন। ঘটনার জেরে রাজনৈতিক উত্তেজনা তৈরি হয়। ঘটনাস্থলে হাড়োয়া থানার বিশাল পুলিশবাহিনী উপস্থিত হয় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। নামানো হয় র‍্যাফও। এলাকায় চালানো হয় পুলিশি টহলও। 



এর পিছনে শুধুই কি একুশের সভা দেখা নিয়ে গণ্ডগোল, না পুরনো রাজনৈতিক বিরোধ, দীর্ঘদিনের গন্ডগোল, ঝামেলা- এর পুরোটাই তদন্ত শুরু করেছে হাড়োয়া থানার। এই ঘটনায় এলাকার তৃণমূল নেতা তপন রায় ও যজ্ঞেশ্বর প্রামানিক - এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।



এই নিয়ে রাজ্য রাজনীতি উত্তপ্ত হয। ঘটনাস্থলে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার তৃণমূলের কার্যকারী সভাপতি নারায়ন গোস্বামী, রাজ্য বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার তথা পার্টির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক মৃতের পরিবারের কাছে গিয়ে তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিলেন। 



পাশাপাশি, মৃত দুই পরিবারকে ৮ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য তুলে দিয়েছিলেন। সেদিন রাজ্য নেতারা বলেছিলেন, এই ঘটনায় কেউ রেয়াত পাবে না, যারা এর সঙ্গে যুক্ত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এরপর গতকাল বাছরা মোহনপুর তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি  যজ্ঞেশ্বর প্রামাণিককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃত যজ্ঞেশ্বরকে শনিবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন