Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

সোমবার, ১৯ জুলাই, ২০২১

করোনা পরিস্থিতিতে 'ছাত্রের দুয়ারে শিক্ষক'‌

 

করোনা পরিস্থিতিতে 'ছাত্রের দুয়ারে শিক্ষক'‌

সমকালীন প্রতিবেদন : মানসিক ভরসা ও সহায়-সম্বলহীন ছাত্রদের পাশে থাকার অঙ্গীকার নিয়ে পড়ায়াদের বাড়িতে পৌঁছে গেলেন শিক্ষকেরা। 'ছাত্রের দুয়ারে শিক্ষক'‌ নামের এই কর্মসূচি নিয়ে ছাত্রদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাচ্ছেন শিক্ষক–শিক্ষিকারা। অভিনব এই উদ্যোগ উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা ব্লকের চাঁদপাড়া বাণী বিদ্যাবীথি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের।

বনগাঁ মহকুমার অন্যতম ঐতিহ্যবাহী এই স্কুল পাঠদানের ব্যবস্থায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পড়ুযাদের যে উজ্জল ফলাফল হয়, তার খ্যাতি এলাকায় যথেষ্ট চর্চিত। সেই কারনেই গাইঘাটা ব্লকের দূর-দূরান্তের পড়ুয়াদের মধ্যে এই বিদ্যালয়ের প্রতি প্রবল আকর্ষণ। বিদ্যালয়ের বর্তমান প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলামের নেতৃত্বে স্কুলের সহ শিক্ষক, শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মীদের সহযোগিতায় শিক্ষায়তনটি পূর্ণ রুপ পেতে চলেছে। অত্যাধুনিক পঠন প্রনালীসহ সাহিত্য, ক্রীড়া, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান ক্লাব গঠনে, শৃঙ্খলাপরায়ণ, সময়ানুবর্তিতা, সামাজিকতার মতো গুনাবলীর বিকাশ ঘটিয়ে আগামী প্রজন্মকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলাই লক্ষ্য বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের।  

কিন্তু ছন্দপতন ঘটিয়েছে করোনা অতিমারী। অনলাইনে পাঠ প্রদান চললেও গত প্রায় দেড় বছর ধরে ছাত্রদের সঙ্গে প্রত্যক্ষ সংযোগেছেদ ঘটেছে। অতিমারি পরিস্থিতির মধ্যে বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের কিভাবে দিন কাটছে, তারা কি অবস্থায় আছে, অনলাইনে তাদের পাঠ গ্ৰহনে কি অসুবিধা হচ্ছে,  অতিমারীর কারনে তাদের পরিবারের আর্থিক অবস্থা কেমন রয়েছে, পরিবার কাজ হারাল কিনা, কোনও ছাত্র বা তার পরিবার করোনা আক্রান্ত হল কিনা, কোনও ছাত্র হতাশাগ্রস্ত হলো কিনা, কোনও ছাত্র পড়াশুনা ছেড়ে দিয়ে পরিবারের আর্থিক সংকটের কারণে অর্থ রোজগারের পথে যাওয়ার কথা ভাবছে কিনা বা গেছে কিনা। 

এইসমস্ত বিষয়ে খোঁজ দিতে, তাদের মনের সমস্ত হতাশা কাটিয়ে স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখার পরামর্শ দিতে বিশেষ উদ্যোগ দিল স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুলের প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম জানালেন, 'ঠিক হয়েছে, স্কুলের সমস্ত শিক্ষক–শিক্ষিকাদের ৭টি দলে ভাগ করে প্রতিদিন প্রতিটি দল ৫০ জন পড়ুয়ার বাড়িতে সরাসরি হাজির হয়ে তাদের এবং তাদের পরিবারের খোঁজ নেবেন। পাশাপাশি, পড়ুয়াদের হাতে পড়াশোনার সামগ্রী এবং পরিবারের হাতে রেশন সামগ্রী তুলে দেওয়া হবে।' ‌সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী  সোমবার থেকে 'ছাত্রের দুয়ারে শিক্ষক' ‌নামের এই কর্মসূচির সূচনা হল। প্রথম দিন ৩০০ জন পড়ুয়ার বাড়িতে হাজির হন স্কুলের শিক্ষকেরা। গত বছরও কোভিড পরিস্থিতিতে বিদ্যালয়ের সমস্ত শিক্ষক, শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীদের অনুদানে ‌৫০ হাজার টাকা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দান করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এবছর করোনা অতিমারী মোকাবেলায় অগ্রণী সেনানী হিসেবে ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের কর্তব্যে অনন্য নজির রাখায় বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তাঁদেরকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়।





 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন