Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

শুক্রবার, ২৩ জুলাই, ২০২১

অবসাদ কাটাতে সঙ্গী যখন রঙিন মাছ (‌দ্বিতীয় পর্ব)‌

 

Colorful fish when companion to cut fatigue

সমকালীন প্রতিবেদন : টেক্সাস সিক্লাইডের জন্মস্থান টেক্সাস। শরীরটা তেলাপিয়া মাছের মতো চ্যাপ্টা। দেহে অসংখ্য নীল ছোপ। সঙ্গে ঢেউ খেলানো দাগ। পাথরওয়ালা জলাশয় পছন্দের। পাথরের নীচে লুকিয়ে ডিম পাড়ে। মা-বাবা উভয়েই ডিম ও বাচ্চা পাহারা দেয়। রয়েছে ফায়ার মাউথ সিক্লাইভ মাছ। এদের মাথা বড়। উপরের ঠোঁট বাঁকা। গায়ের রং নীলচে ধূসর, বাদামি। গায়ের চামড়া বেগুনি। পুরুষের গলা ও মুখের নীচ লাল। অন্য মাছের সঙ্গে মানিয়ে নেয়। তবে সবাই যে সেটা করে তা কিন্তু নয়। যেমন, ফাইটিং ফিশ। এদের নিজের ঘর মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড। লেজের পাখনা গোলাকৃতি। পিঠের পাখনা বেশ লম্বা ও উঁচু। পুরুষরা রংবাহারি। তবে একে অন্যকে মোটেই সহ্য করতে পারে না। দেখলেই মেজাজ সপ্তমে ওঠে। তেড়ে যায় একে অন্যের দিকে। সেকারণে একটি অ্যাকোয়ারিয়ামে কখনও দু’টি পুরুষ ফাইটিং ফিশ রাখা যাবে না। তা হলেই চরম গোল বাঁধবে। এদের মেয়েরা অবশ্য ঝগড়াঝাটি করে না। সমগোত্রীয়দের সঙ্গে মিলেমিশে থাকতে অসুবিধা হয় না। প্রিয় খাবার জলাশয়ের নীচের শ্যাওলা। তৈরি করে দেওয়া খাবারেও অরুচি নেই। 

দক্ষিণ ২৪ পরগনার শস্য শ্যামলা কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের বিষয়বস্তু বিশেষজ্ঞ (মৎস্য বিজ্ঞান) ড. স্বাগত ঘোষ বললেন, '‌ফাইটার মাছ একদম যেন সিংহের মতো কেশর ফুলিয়ে মারামারি করে। রেগে গেলে রীতিমতো গাল ফোলাতে থাকে।' আবার শিল্পীর তুলির ছোঁয়ায় যেভাবে জীবন্ত হয়ে ওঠে ক্যানভাস, ঠিক তেমনই জলের মধ্যে নকশা বানিয়ে ডিম পাড়ে অ্যাঞ্জেল। একেবারে পালকের মতো দেখতে ফেদার ফিশ। আরোয়ানা মাছের স্বভাব আবার অদ্ভুত। ডিম পেড়ে এরা মুখে নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। বাচ্চা হওয়ার পরও তা এদের শরীরের সঙ্গে অনেকদিন পর্যন্ত লেগে থাকে। 

মজার শেষ নেই। কেউ যেমন ডিম পেড়ে লুকিয়ে রাখে। রাত-দিন পাহারা দেয়। কেউ আবার ডিম পাড়তে জলের মধ্যেই পাখির মতো বাসা তৈরি করে। শুনতে আশ্চর্য লাগছে তো! কিন্তু ব্লু গোরামি মাছের কাণ্ডকারখানা না দেখলে বিশ্বাসই হবে না যে, এমনটাও হতে পারে। এরা জলের মধ্যে বড় একটা বুদবুদ বা ব্লাডারের মতো তৈরি করে। ডিমগুলো এর ভিতরে থাকে। আর ব্লাডারটি ভেসে থাকে জলের উপর। 

টেট্রা মাছের স্বভাবটা আবার অদ্ভুত। এরা জলের কিনারায় কোনও গাছ থাকলে তার ঝুলন্ত পাতায় ডিম পাড়ে। তার পর মাঝেমধ্যে জলের ঝাপটা দিয়ে ভিজিয়ে রাখে সেই ডিম। পাথরের নীচেও অনেক সময় ডিম পাড়ে। তবে যাই হোক না কেন, ডিম ফুটে বাচ্চা না-হওয়া পর্যন্ত সমানতালে জল ছেটাতে থাকে। অনেক মাছ রয়েছে, যারা একা একাই বড় হয়ে ওঠে। বাবা-মা ন্যূনতম খেয়ালটুকু রাখে না। ডিম পেড়েই তাদের দায়িত্ব শেষ। যেমন, রেড ফিন শার্ক, নিওন টেট্রা, গোল্ডফিশ।‌

(‌পরবর্তী অংশ আগামীকাল)‌




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন