সমকালীন প্রতিবেদন : উচ্চ মাধ্যমিকের প্রথম পর্যায়ের ফল প্রকাশের দিনই উত্তেজনা ছড়াল উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগর থানার অন্তর্গত আকাইপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ব্যাসপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে। অভিযোগ, স্কুলে ভূগোলের কোনও প্র্যাকটিক্যাল ল্যাব নেই। ফলে ভূগোল বিষয়ে নম্বর কম এসেছে বহু ছাত্রছাত্রীর। ফল প্রকাশের পরই বিক্ষোভে ফেটে পড়ে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বহুদিন ধরেই স্কুলে ভূগোল ল্যাব স্থাপনের দাবি জানিয়ে আসছিল ছাত্রছাত্রীরা। তাঁদের অভিযোগ, ল্যাব তৈরির জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে টাকা নেওয়া হলেও আজ পর্যন্ত সেই ল্যাব স্থাপিত হয়নি। পড়ুয়াদের দাবি, প্র্যাকটিক্যালের সঠিক পরিবেশ না থাকায় পরীক্ষার নম্বর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এদিন সকাল থেকেই স্কুল চত্বরে বিক্ষোভ শুরু করে ক্ষুব্ধ ছাত্রছাত্রী ও তাঁদের অভিভাবকেরা। মুহূর্তে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, স্কুলের টিচার-ইন-চার্জ এবং এক সহকারী শিক্ষক নাকি স্কুলের ফ্ল্যাড সেন্টারের ঘর দখল করে সেখানে বসবাস করছেন। অথচ সরকারের তরফে ঘর ভাড়ার টাকা নিয়মিত দেওয়া হয়। ফলে সরকারি সম্পত্তি দখল করে থাকা এবং আর্থিক অনিয়মের অভিযোগও ওঠে অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে অবশেষে এগিয়ে আসেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। তিনি দাবি করেন, “২০২১ সালে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকার কারণে যাতায়াতের অসুবিধা হচ্ছিল। তাই সহকারী এক শিক্ষককে নিয়ে স্কুলে থাকছি।” পাশাপাশি তিনি স্বীকার করেন, “ছাত্রছাত্রীদের দাবিগুলি ন্যায্য। খুব শিগগিরই ভূগোল প্র্যাকটিক্যাল ল্যাব স্থাপনসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
প্রধান শিক্ষকের এই আশ্বাসের পর বিক্ষোভ প্রত্যাহার করে ছাত্রছাত্রীরা। তবে তাঁদের বক্তব্য, প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত না হলে তাঁরা আবারও বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে। এদিকে, গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শিক্ষা মহলে। প্রশ্ন উঠেছে, সরকারি বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও কেন এখনও পর্যন্ত ল্যাব স্থাপন হয়নি? শিক্ষাদপ্তরের পক্ষ থেকেও ঘটনার তদন্তের দাবি উঠেছে। এখন দেখার বিষয়, আশ্বাস কতটা বাস্তবে পরিণত হয়, নাকি এই বিক্ষোভও থেকে যায় কেবল কাগজে কলমে প্রতিশ্রুতির আকারে।
 
 







 
 
 
 
 
 
 
 
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন