সমকালীন প্রতিবেদন : গ্রামের সাধারণ মানুষের প্রাথমিক চিকিৎসার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন পল্লী-চিকিৎসকরা। অসুস্থ মানুষ প্রথমে যাঁদের কাছে পৌঁছান, তাঁদেরই চিকিৎসা সিদ্ধান্ত অনেক সময় নির্ধারণ করে রোগীর জীবন-মৃত্যুর সীমানা। সেই কারণেই পল্লী-চিকিৎসকদের চিকিৎসা জ্ঞান ও সচেতনতা বৃদ্ধি এখন সময়ের দাবি। এই লক্ষ্য নিয়েই বনগাঁ ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন-এর উদ্যোগে আয়োজিত হলো এক বিশেষ চিকিৎসা প্রশিক্ষণ কর্মশালা।
বৃহস্পতিবার বনগাঁর নিলদর্পণ হলে আয়োজিত এই প্রশিক্ষণ শিবিরের মূল বিষয় ছিল “Diabetes and its Complications”, অর্থাৎ ডায়াবেটিস ও তার জটিলতা সম্পর্কিত আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি ও প্রতিরোধ ব্যবস্থা। এই উদ্যোগে সহযোগিতা করে Institute of Diabetes Care & Education (iD Care) এবং প্রোগ্রামের স্পনসর হিসেবে ছিল Ampiron Pharmaceuticals।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বনগাঁ ও আশেপাশের এলাকার বিশিষ্ট চিকিৎসকবৃন্দ। আর তাঁরা হলেন– ডা: ইউ পি দাস, ডা: ঋতেশ চক্রবর্তী, ডা: সুমন রায়, ডা: তামিশা পাণিগ্রাহী, ডা: সৌমেন চন্দ, ডা: সন্দীপ বিশ্বাস, ডা: প্রিয়াঙ্কা বিশ্বাস, পুষ্টিবিদ সম্পা মজুমদার এবং ডা: মৃগাঙ্গ সাহারায়।
বক্তারা তাঁদের বক্তব্যে ডায়াবেটিসের প্রাথমিক লক্ষণ চিহ্নিত করার কৌশল, রোগ নিয়ন্ত্রণে জীবনধারা পরিবর্তনের গুরুত্ব এবং সময়মতো চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বিশদে আলোচনা করেন। বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয় গ্রামীণ পর্যায়ে চিকিৎসকদের ভূমিকা ও রোগীদের দ্রুত রেফার করার প্রটোকল নিয়েও।
ডায়াবেটিস এখন দেশের গ্রাম-শহর নির্বিশেষে ক্রমবর্ধমান এক ‘সাইলেন্ট কিলার’। সেই প্রেক্ষিতে বনগাঁ ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন স্থানীয় চিকিৎসক সমাজ। অংশগ্রহণকারী এক পল্লী-চিকিৎসক বলেন, “এ ধরনের প্রশিক্ষণ আমাদের বাস্তব জীবনের চিকিৎসা সিদ্ধান্তে অনেক সাহায্য করে। রোগীদের দ্রুত ও সঠিক চিকিৎসা দিতে পারব।”
BDA-র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভবিষ্যতে আরও এমন সচেতনতা ও ট্রেনিং প্রোগ্রাম আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে, যাতে গ্রামীণ স্তরে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাকে আরও শক্তিশালী করা যায়।
 
 








 
 
 
 
 
 
 
 
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন