![]() |
শনিবার সিডনির ম্যাচ চলাকালীন অ্যালেক্স ক্যারির উড়ন্ত ক্যাচ নিতে গিয়ে পিছন দিকে দৌড়তে থাকেন শ্রেয়স আইয়ার। বল হাতে নিয়েই মাটিতে পড়ে যান। প্রথমে বিষয়টি তেমন গুরুতর মনে হয়নি— মাঠেই সামান্য চিকিৎসার পর হেঁটে সাজঘরে ফেরেন তিনি। কিন্তু কয়েক মিনিটের মধ্যেই শুরু হয় তীব্র বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট ও রক্তচাপের ওঠানামা।
টিমের চিকিৎসক ও ফিজিও তখনই তাঁকে হাসপাতালে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন। হাসপাতালে পরীক্ষার পরই ধরা পড়ে, আঘাতের জেরে পাঁজরের নিচে থাকা প্লীহায় রক্তক্ষরণ হচ্ছে। অবস্থার জটিলতা বুঝে তাঁকে তৎক্ষণাৎ আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। এক চিকিৎসক সংবাদ সংস্থাকে জানান, “রক্তক্ষরণ বন্ধ করাই সবচেয়ে জরুরি ছিল। সামান্য দেরি হলে বিপদ আরও বাড়তে পারত।”
বোর্ডের মেডিক্যাল টিম সূত্রে খবর, শ্রেয়সের অবস্থা এখন স্থিতিশীল। রক্তক্ষরণ নিয়ন্ত্রণে এসেছে, সংক্রমণের আশঙ্কাও আপাতত নেই। তাঁকে আইসিইউ থেকে জেনারেল ওয়ার্ডে সরানো হয়েছে। তবুও আগামী এক সপ্তাহ তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, “চোট গুরুতর হলেও জীবনসঙ্কট নেই। তবে সম্পূর্ণ সেরে উঠতে সময় লাগবে।”
দলের এক সদস্য জানিয়েছেন, “ড্রেসিংরুমে ফেরার পর শ্রেয়সের অবস্থা খারাপ হতে শুরু করে। টিমের ডাক্তাররা এক মুহূর্ত সময় নষ্ট করেননি। সরাসরি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়াতেই বিপদ এড়ানো সম্ভব হয়েছে।” চিকিৎসকদের ধারণা, চোটের জায়গায় আঘাতের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে পাঁজর ভেদ করে প্লীহা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, সেখান থেকেই রক্তক্ষরণ শুরু হয়।
চিকিৎসক ও বোর্ড সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্রেয়সকে কমপক্ষে সাত দিন সিডনিতেই রাখতে হবে। তার পর অবস্থা অনুযায়ী তাঁকে দেশে ফেরানোর পরিকল্পনা নেওয়া হবে। বোর্ডের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানাচ্ছে, শ্রেয়সের আগামী এক মাসের আগে মাঠে ফেরা কার্যত অসম্ভব। টি-টোয়েন্টি সিরিজে তাঁর নাম না থাকলেও, এখন মূল লক্ষ্য তাঁকে সম্পূর্ণ বিশ্রাম ও চিকিৎসা দেওয়া। ভারতের এক দিনের দলের সহ-অধিনায়ক হিসেবে শ্রেয়স আইয়ার অন্যতম নির্ভরযোগ্য ব্যাটার। তাঁর হঠাৎ চোটে টিম ম্যানেজমেন্টে উদ্বেগ ছড়িয়েছে।








কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন