সমকালীন প্রতিবেদন : ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন এক চিকিৎসক এবং তাঁর বোন। গাইঘাটা থানার চাঁদপাড়া এলাকার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে এই ঘটনায় গাইঘাটা থানার পুলিশ চার অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। বৃহস্পতিবার ধৃতদের বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার গভীর রাতে অংশুমিতা পাল নামে এক যুবতী তাঁর বন্ধুর সঙ্গে কালীপ্রতিমা দর্শন করে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় চাঁদপাড়া এলাকাতেই বাড়ির খুব কাছে তাঁদের বাইক আটকে দেয় চারজন মদ্যপ যুবক। অভিযোগ, ওই যুবকেরা অংশুমিতার সঙ্গে অশালীন আচরণ শুরু করে। প্রতিবাদ করায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
বড় বিপদের আশঙ্কা বুঝে অংশুমিতা ফোনে বিষয়টি তাঁর দাদা, কলকাতা মেডিকেল কলেজের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ডা. সুমন সাহা-কে জানান। খবর পেয়ে তিনি কয়েকজন সহকর্মীকে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছলে, দুষ্কৃতীরা তাঁদেরও উপর হামলা চালায়। এরপর আহত অবস্থায় ভাইবোন দু’জনকেই স্থানীয় চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়।
ঘটনার পর রাতেই গাইঘাটা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন অংশুমিতা পাল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ দ্রুত তদন্তে নামে এবং চাঁদপাড়া ও আশপাশের এলাকা থেকে অরিন্দম রায়, বাবান রায়, জয়ন্ত দত্ত ও আকাশ দাস নামে চার যুবককে গ্রেপ্তার করে। ধৃতদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পেছনে আরও কেউ যুক্ত আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ধৃত চারজনই স্থানীয় এবং পূর্বে তাদের বিরুদ্ধে অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগ ছিল কিনা সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ঘটনার পর চাঁদপাড়া এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, এলাকায় নিত্যই কিছু অসামাজিক যুবক রাতের বেলা মদ্যপ অবস্থায় ঘোরাফেরা করে এবং মহিলাদের উত্যক্ত করে। পুলিশের কাছে তাঁদের আবেদন— এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে এলাকায় নিয়মিত টহলদারি জোরদার করা হোক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন