সমকালীন প্রতিবেদন : ক্রিকেট মাঠে তার ব্যাট থেকে ছুটে আসা ছক্কা যেমন দর্শকদের মুগ্ধ করে, তেমনই এবার গণতন্ত্রের ময়দানেও তিনি ছড়িয়ে দিচ্ছেন সচেতনতার আলো। বয়স মাত্র ১৪— অথচ এই অল্প বয়সেই তিনি হয়ে উঠেছেন বিহার রাজ্যের ‘ফিউচার ভোটার আইকন’। তিনি আর কেউ নন, রাজ্যের উঠতি ক্রিকেট প্রতিভা বৈভব সূর্যবংশী।
ভোট দিতে পারার বয়সও হয়নি এখনও, তবুও নির্বাচন কমিশনের নজরে পড়েছেন এই কিশোর প্রতিভা। তরুণ প্রজন্মকে ভোটের গুরুত্ব বোঝাতে এবং গণতন্ত্রে সক্রিয় অংশগ্রহণে উৎসাহিত করতেই বৈভবকে বেছে নেওয়া হয়েছে এই বিশেষ দায়িত্বের জন্য।
আগামী ৬ ও ১১ নভেম্বর দুই দফায় অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বিহার বিধানসভা নির্বাচন। নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশন ও প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো-এর যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত এক প্রচার ভিডিওতে দেখা গিয়েছে বৈভবকে।
ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন— “যখন আমি মাঠে নামি, আমার কাজ হয় দলকে জেতানো। কিন্তু গণতন্ত্রে নাগরিকদের কাজ হল ভোট দেওয়া। তাই সবাই ভোট দিন, নিজের সরকার নিজেই বেছে নিন।” ভিডিওটি ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল, প্রশংসায় ভাসছে এই তরুণ ক্রিকেটার।
বিহারের ক্রীড়া জগতে বৈভব সূর্যবংশী এখন এক পরিচিত নাম। দুর্দান্ত ব্যাটিং ও বিধ্বংসী ছক্কায় তিনি জায়গা করে নিয়েছেন রাজ্যের তরুণ ক্রিকেটপ্রেমীদের হৃদয়ে। এবার সেই জনপ্রিয়তাকেই কাজে লাগাতে চায় নির্বাচন কমিশন। কর্মকর্তাদের মতে, “যুবসমাজে প্রভাব ফেলতে পারে এমন ইতিবাচক মুখই সবচেয়ে কার্যকর আইকন। বৈভব তার প্রতিভা, শৃঙ্খলা ও জনপ্রিয়তার কারণে এই দায়িত্বের যোগ্য।”
এই দায়িত্ব পেয়ে আপ্লুত বৈভব বলেন— “ভোট দেওয়া মানে নিজের ভবিষ্যৎ গড়া। আমি যদিও এখন ভোট দিতে পারি না, তবুও চাই আমার রাজ্যের সবাই এই দায়িত্ব পালন করুক।” এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য— গণতন্ত্রে সক্রিয় নাগরিকত্ব ও দায়িত্ববোধের প্রচার।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, “একজন ১৪ বছরের কিশোরকে ভোট সচেতনতার প্রতীক হিসেবে তুলে ধরা আসলে নতুন প্রজন্মকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে আগেভাগে যুক্ত করার এক ইতিবাচক পদক্ষেপ। এতে আগামী দিনের ভোটাররা আরও দায়িত্ববান হয়ে উঠবে।” ক্রিকেট মাঠে যেমন ছক্কার পর ছক্কা হাঁকিয়ে জয় ছিনিয়ে নেন বৈভব সূর্যবংশী, তেমনি এবার ভোট সচেতনতার ময়দানেও তিনি ছড়িয়ে দিচ্ছেন ‘দায়িত্বশীল নাগরিকত্ব’-এর বার্তা। তাঁর এই নতুন ইনিংস হয়তো অনুপ্রেরণা দেবে অসংখ্য তরুণকে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন