সমকালীন প্রতিবেদন : বিরাট কোহলির দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু বিক্রি হয়ে যেতে পারে—এই গুঞ্জন নতুন নয়। তবে এবার বিষয়টি প্রায় নিশ্চিতের দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছে। গ্রেট ব্রিটেনভিত্তিক যে সংস্থা বর্তমানে আরসিবি-র মালিক, তারা নাকি দলের কম লাভজনক অবস্থান দেখে আর সেটি ধরে রাখতে আগ্রহী
নয়। যদিও সংস্থার ভারতীয় শাখা এখনো চেষ্টা করছে মূল কর্তৃপক্ষকে বোঝাতে, যেন দল বিক্রির সিদ্ধান্ত থেকে তারা সরে আসে। তবে সেই সম্ভাবনা আপাতত ক্ষীণ বলেই মনে করা হচ্ছে। এই সুযোগেই আরসিবি কেনার দৌড়ে নেমে পড়েছে একাধিক নামী সংস্থা। ভারত থেকে ইতিমধ্যেই আগ্রহ দেখিয়েছে তিনটি বড় গোষ্ঠী—আদানি গোষ্ঠী, জেএসডব্লিউ গোষ্ঠী এবং সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া।
পাশাপাশি আমেরিকারও দুটি বিনিয়োগকারী সংস্থা রয়েছে তালিকায়, যাদের নাম এখনো গোপন রাখা হয়েছে। ব্যবসায়িক দুনিয়ার পর্যবেক্ষকদের মতে, এই প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে আদানি গোষ্ঠী। ২০২২ সালে আহমেদাবাদ ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানা পেতে তারা নেমেছিল বিডে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত গুজরাট টাইটান্সের দখল যায় অন্য সংস্থার হাতে।
তাই এবার বেঙ্গালুরু দলে হাতছানি দেখছে আদানি গোষ্ঠী। অন্যদিকে জেএসডব্লিউ গোষ্ঠীও পিছিয়ে থাকতে চায় না। তারা বর্তমানে দিল্লি ক্যাপিটালসের ৫০ শতাংশ মালিক। তবে বেঙ্গালুরু দল কিনতে গেলে আইপিএলের নিয়ম মেনে সেই মালিকানা থেকে সরে আসতে হবে, কারণ একই মালিকানাধীন দুটি দল একসঙ্গে খেলতে পারে না।
এইতালিকায় রয়েছে সিরাম সংস্থাও, আদর পুনাওয়ালার নেতৃত্বে। অতীতে তারাও আইপিএলের একটি দল কেনার চেষ্টা করেছিল, যদিও সে বার সফল হয়নি। এবার তাদের লক্ষ্য স্পষ্ট—আরসিবি-র মালিকানা। বাজার বিশ্লেষকদের হিসেবে, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু কেনার জন্য কোনও সংস্থাকে প্রায় ১৭,৬০২ কোটি টাকা ব্যয় করতে হতে পারে।
সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ব্র্যান্ড মূল্যে আরসিবি বর্তমানে পুরো আইপিএল-এর মধ্যে শীর্ষস্থানে রয়েছে। সব মিলিয়ে, আরসিবি বিক্রি হলে সেটা শুধু ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের বাজারে নয়, ভারতের ক্রীড়া জগতে বড়সড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেবে বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞমহল। এখন দেখার, শেষ পর্যন্ত কে হয়ে ওঠে কোহলির এই ঐতিহাসিক দলের নতুন মালিক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন