Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫

টানটান লড়াইয়ের পর অবশেষে সিরিজ জিতল ভারত

 

India-won-series

সমকালীন প্রতিবেদন : দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে পাঁচ দিনের টানটান লড়াই শেষে শেষ পর্যন্ত সিরিজ জিতল ভারত, কিন্তু ম্যাচ শেষে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রইল ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুরন্ত প্রত্যাবর্তন। শুভমন গিলের নেতৃত্বে ভারত দ্বিতীয় টেস্ট ৭ উইকেটে জিতলেও, ক্যারিবিয়ানদের সাহসী প্রতিরোধ ক্রিকেটবোদ্ধাদের নজর কাড়ল।

প্রথম ইনিংসে ভারতীয় ব্যাটাররা প্রায় অপ্রতিরোধ্য। যশস্বী জয়সওয়ালের ১৭৫, অধিনায়ক শুভমন গিলের অপরাজিত ১২৯ এবং সাই সুদর্শনের ৮৭ রানের ইনিংসে ৫১৮ রানে ডিক্লেয়ার করে টিম ইন্ডিয়া। জবাবে কুলদীপ যাদবের ঘূর্ণিতে ৫ উইকেট এবং রবীন্দ্র জাডেজার ৩ উইকেটে ২৪৮ রানে গুটিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ভারত ফলো-অন করালে মনে হয়েছিল দ্রুতই শেষ হবে ম্যাচ। কিন্তু বাস্তবে গল্পটা অন্যরকম লিখল ক্যারিবিয়ানরা।

দ্বিতীয় ইনিংসে জন ক্যাম্পবেল ও শাই হোপের জোড়া শতরানে ম্যাচে ফিরে আসে অতিথিরা। ক্যাম্পবেলের ব্যাট থেকে আসে ১১৫ রান, হোপও খেলেন অনবদ্য ১০৩ রানের ইনিংস। ৫১ বছর পর ভারতের মাটিতে একই ইনিংসে দুই ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ব্যাটারের শতরান দেখা গেল। ধীরে ধীরে ভারতের বোলারদের হতাশ করে ইনিংস হার এড়াল তারা। শেষ দিকে জাস্টিন গ্রিভস ও জেইডেন সিলসের শেষ উইকেট জুটি ৭৯ রান যোগ করায় ভারতের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১২১ রান।

চতুর্থ ইনিংসে রান তাড়া করতে নেমে ভারত কিছুটা চাপে পড়ে। ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল দ্বিতীয় ওভারেই আউট হন। তবে কে. এল. রাহুলের শান্ত ও পরিণত ব্যাটিংয়ে ভারত সহজেই লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে। রাহুল অপরাজিত ৫৮ রানে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। ৫৮ রানের প্রয়োজন নিয়ে পঞ্চম দিনের শুরুতে মাত্র এক ঘণ্টাতেই ম্যাচ জিতে নেয় ভারত।

সিরিজে সবচেয়ে বেশি রান করেন জয়সওয়াল। তাঁর সংগ্রহ ২১৯ রান, আর বল হাতে সেরা কুলদীপ যাদব নেন ১২ উইকেট। শুভমন গিলের অধিনায়কত্বে প্রথম সিরিজ জয় ভারতীয় শিবিরে আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে ঠিকই, তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের লড়াকু মানসিকতা গম্ভীরদেরও ভাবাবে। কোচ গৌতম গম্ভীর ম্যাচ শেষে জানান, “এই জয় সহজ ছিল না। ওয়েস্ট ইন্ডিজ শেষ দিন পর্যন্ত লড়েছে। আমাদের আরও উন্নতি করতে হবে।”

আগামী মাসে ঘরের মাঠে শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে নামবে ভারত। দিল্লি টেস্টের অভিজ্ঞতা প্রমাণ করল, আধুনিক টেস্ট ক্রিকেটে কোনও দলকেই হালকাভাবে নেওয়া যায় না। একদা দুর্বল বলে চিহ্নিত ওয়েস্ট ইন্ডিজও যদি এমনভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারে, তবে প্রোটিয়া চ্যালেঞ্জের আগে ভারতকে হতে হবে আরও প্রস্তুত, আরও সতর্ক।





কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন