সমকালীন প্রতিবেদন : ১৯৮৪ সালের পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে কোনও এক দিনের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়নি ভারত। চলতি সিরিজে সেই সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলির অবিচ্ছিন্ন ১৬৮ রানের জুটিতে লজ্জা এড়াল ভারত। তৃতীয় ও শেষ এক দিনের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ৯ উইকেটে হারিয়ে সম্মান রক্ষা করল শুভমন গিলের দল।
অস্ট্রেলিয়ার ২৩৬ রানের জবাবে ভারত মাত্র ৩৮.৩ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে পৌঁছে যায় লক্ষ্যভেদে। অধিনায়ক হিসেবে প্রথম জয় পেলেন শুভমন গিল। রোহিত শর্মা ১২৫ বলে অপরাজিত ১২১ রান করেন এবং বিরাট কোহলি অপরাজিত থাকেন ৮১ বলে ৭৪ রান।
প্রথম দুই ম্যাচে শূন্য রানে আউট হয়ে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন কোহলি। সিডনিতে ব্যাট হাতে ফিরেই দেখালেন তাঁর ক্লাস। রোহিতের সঙ্গে পুরনো ছন্দে জুটি বেঁধে দাপুটে ব্যাটিং উপহার দিলেন ক্রিকেটপ্রেমীদের। দীর্ঘ সাত মাস আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে থাকার পর এই ইনিংস যেন তাঁদের পুনরুজ্জীবনের প্রতীক।
রোহিত ও কোহলির সংযত অথচ আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের সামনে নির্বিষ দেখাল অস্ট্রেলীয় বোলিং আক্রমণকে। মিচেল স্টার্ক, জশ হেজলউডদের মতো বিশ্বমানের বোলাররাও হারালেন ধার। এই ইনিংস যেন মনে করিয়ে দিল, বয়স যতই হোক, “রো-কো” এখনও ভারতের মেরুদণ্ড।
এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে অস্ট্রেলিয়া। শুরুটা ভালো হলেও মাঝপথে ভেঙে পড়ে তাদের ইনিংস। ৪৬.৪ ওভারেই গুটিয়ে যায় ২৩৬ রানে। ম্যাট রেন শ সর্বাধিক ৫৬ রান করেন। ট্রেভিস হেড, মিচেল মার্শ এবং ম্যাথু শর্ট কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও শেষ দিকে পরপর উইকেট হারিয়ে চাপ বাড়ায় স্বাগতিকরা।
ভারতের তরুণ বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে উজ্জ্বল ছিলেন হর্ষিত রানা। ৩৯ রানে ৪ উইকেট নিয়ে তিনি থামালেন অস্ট্রেলিয়ার রানের গতি। ওয়াশিংটন সুন্দর নিলেন ২ উইকেট, সিরাজ, কুলদীপ ও প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ প্রত্যেকে ১টি করে উইকেট পান।
এই জয়ে অনেকটাই স্বস্তিতে ভারতীয় শিবির। গৌতম গম্ভীরের নেতৃত্বাধীন টিম ম্যানেজমেন্ট ভবিষ্যতের দল গঠনের পরিকল্পনা শুরু করলেও রোহিত-কোহলির অভিজ্ঞতা যে এখনও অমূল্য, তা স্পষ্ট করে দিল সিডনির এই জুটি। ৪১ বছর পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়াল ভারত। শুধু তাই নয়, “রো-কো” জুটির দাপটে আবারও ফিরে এল পুরনো আত্মবিশ্বাস—যা আগামীদিনে ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য শুভ সংকেত।









কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন