সমকালীন প্রতিবেদন : বোনকে ইভটিজারদের হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের হাতে গুরুতরভাবে জখম হলেন এক চিকিৎসক। রক্তাক্ত হয়েছেন তাঁর বোন ও আরও দু’জন। মঙ্গলবার গভীর রাতে কালীপুজোর মণ্ডপ দর্শন করতে গিয়ে এই হামলার শিকার হয়েছেন তাঁরা। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গাইঘাটা থানার চাঁদপাড়া এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্ত যুবতীর নাম অংশুমিতা পাল, বাড়ি চাঁদপাড়া বাজার সংলগ্ন পূর্ব সোনাটিকারী এলাকায়। তাঁর দাদা ডাক্তার সুমন সাহা, কলকাতা মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক। এদিন রাতে আক্রান্ত হন অংশুমিতার বন্ধু সুমিত চক্রবর্তী এবং ডাক্তার সাহার এক বন্ধুও।
অংশুমিতা পালের অভিযোগ, রাত প্রায় পৌনে একটা নাগাদ তিনি তাঁর বন্ধুর বাইকে করে গৌরব উজ্জ্বল সংঘের পুজো দেখে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় চারজন মদ্যপ যুবক তাদের বাইক থামিয়ে কটূক্তি ও অশালীন আচরণ শুরু করে। বাধা দিতে গেলে অংশুমিতার বন্ধু সুমিত চক্রবর্তীকে মারধর করা হয়। এরপর অংশুমিতা হস্তক্ষেপ করলে দুষ্কৃতীরা তাঁকেও মারধর করে, এমনকি অন্ধকারে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। প্রতিরোধ করতে গেলে এক যুবক তাঁর হাতে কামড়ে দেয় বলে অভিযোগ।
রক্তাক্ত অবস্থায় অংশুমিতা ফোনে তাঁর দাদা ডাক্তার সুমন সাহাকে ঘটনাটি জানান। খবর পেয়ে তিনি এবং তাঁর এক বন্ধু ঘটনাস্থলে পৌঁছলে দুষ্কৃতীরা তাদের উপর লোহার রড, কাঠ ও পাথর নিয়ে চড়াও হয়। গুরুতরভাবে জখম হন ডাক্তার সুমন সাহা ও তাঁর বন্ধু।
পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। আহতদের প্রথমে চাঁদপাড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই রাতেই গাইঘাটা থানায় তিন দুষ্কৃতী এবং তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন অংশুমিতা পাল।
আক্রান্ত চিকিৎসক বলেন, “ওই যুবকেরা কেন এমন আচরণ করছে জানতে চাইতেই হামলা শুরু হয়। ছোটবেলা থেকে এই এলাকায় বড় হয়েছি। এমন জঘন্য ঘটনা কখনও কল্পনাতেও আসেনি।” অংশুমিতা জানান, “হামলাকারীরা প্রত্যেকেই এলাকার পরিচিত মুখ। তাদের সহজেই শনাক্ত করা যাবে।” ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে গাইঘাটা থানার পুলিশ। হামলাকারীদের সন্ধানে তল্লাশি চলছে।








কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন