Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৫

গোবরডাঙা খুনের ২০ দিন পর অবশেষে গ্রেপ্তার মূল অভিযুক্ত, ইঞ্জিন ভ্যান বিক্রির টাকার লোভেই খুন

 

Arrested-in-murder-case

সমকালীন প্রতিবেদন : অবশেষে রহস্যের জট খুলল গোবরডাঙা রেললাইন লাগোয়া খুনের মামলায়। ঘটনার ২০ দিন পর সোমবার রাতে মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করল বনগাঁ জিআরপি থানার পুলিশ। হাবরার সালুয়া এলাকা থেকে ধৃতকে পাকড়াও করা হয়েছে।

জিআরপি সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম বুদ্ধ মণ্ডল। প্রাথমিক জেরায় সে স্বীকার করেছে, ইঞ্জিন ভ্যান বিক্রির টাকার লোভেই খুন করেছে ভ্যানচালক অভিজিৎ মাহালিকে (৩২)। মঙ্গলবার ধৃতকে বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

চলতি মাসের ৮ অক্টোবর সকালে গোবরডাঙা ও মছলন্দপুর স্টেশনের মাঝের রেলব্রিজ সংলগ্ন ড্রেন থেকে উদ্ধার হয়েছিল এক যুবকের গলায় বেল্ট জড়ানো ও রক্তাক্ত দেহ। দেহটির শরীরে একাধিক ক্ষতের চিহ্ন ছিল। পরে মৃতের পরিচয় মেলে যে তিনি মছলন্দপুরের ভাড়াবাড়িতে থাকা ইঞ্জিন ভ্যানচালক অভিজিৎ মাহালি।

অভিজিৎ পেশায় ভ্যানচালক হলেও পাশাপাশি ছোটখাটো ব্যবসাও করতেন। পরিবারের সূত্রে জানা যায়, ব্যবসায় লোকসানের কারণে ধারদেনা বাড়ায় দাম্পত্য জীবনে অশান্তি তৈরি হয়েছিল। স্ত্রী-ছেলেকে বাপের বাড়ি পাঠানোর কিছুদিন পরই তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয় রেললাইনের পাশে।

পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে বনগাঁ জিআরপি। জানা যায়, খুনের আগে অভিজিৎ নিজের ইঞ্জিন ভ্যানটি ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছিলেন হাবরার সালুয়া এলাকার বাসিন্দা বুদ্ধ মণ্ডলের কাছে। ৭ অক্টোবর সন্ধ্যায় ভ্যান বিক্রির টাকা দেওয়ার নাম করে বুদ্ধ রেলব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় ডাকে অভিজিৎকে।

তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, সেদিন বুদ্ধ অভিজিতকে মদ খাওয়ায় এবং অচেতন হওয়ার পর তাঁর পরনের প্যান্টের বেল্ট খুলে গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে। এরপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে শরীরে একাধিক আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। ময়নাতদন্তের রিপোর্টেও নিশ্চিত হয় যে এটি একটি নৃশংস হত্যাকাণ্ড। দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর অবশেষে সোমবার রাতে সালুয়া থেকে ধৃত বুদ্ধ মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

বনগাঁ জিআরপি সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতকে জেরা করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে– খুনের ঘটনায় তার সঙ্গে আর কেউ জড়িত ছিল কি না এবং ইঞ্জিন ভ্যানটি আদৌ ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছিল, নাকি এর পেছনে আরও বড় অর্থ লেনদেন ছিল।




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন