Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

অষ্টমীতেই বদলে গেল আবহাওয়া, দক্ষিণবঙ্গে শুরু বৃষ্টির দাপট – নবমী-দশমীতে বাড়বে আরও ঝোঁক

 

Weather-changes

সমকালীন প্রতিবেদন : ‌ষষ্ঠী ও সপ্তমীর পরিষ্কার আকাশে উৎসবমুখর জনতা কিছুটা নিশ্চিন্ত হলেও, অষ্টমী পেরোতেই পাল্টে গেল পরিস্থিতি। মঙ্গলবার দুপুর গড়াতেই শহরের আকাশে নেমে এল কালো মেঘের চাদর। রোদ ঝলমলে সকাল নিমেষেই মিলিয়ে গেল অন্ধকারে, আর তারপরই নামল বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি। কোথাও কোথাও বজ্রগর্জনের সঙ্গে প্রবল ধারাপাতও হয়েছে। 

আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, অষ্টমীর বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত মাঝারি মাত্রার বৃষ্টি চলবে। ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া বইতে পারে এবং বাজ পড়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। যদিও ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা আপাতত নেই, তবু বিক্ষিপ্ত ধারাপাত উৎসবের আনন্দে বারবার ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।

আবহাওয়া দফতরের বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, উত্তর আন্দামান সাগরে তৈরি হওয়া একটি ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার পথে। এর জেরেই বুধবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির মাত্রা বাড়বে। কলকাতার পাশাপাশি হুগলি, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, দুই বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়া জেলাতেও বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, বৃহস্পতিবার অর্থাৎ বিজয়া দশমীতে পরিস্থিতি আরও ঘনীভূত হতে পারে। উপকূল সংলগ্ন দুই মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও হাওড়ায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। রাজ্যের বাকি বেশিরভাগ জেলাতেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস।

মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগেও পূর্বাভাস ছিল অষ্টমীতে বড় কোনও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই, নবমী থেকেই নিম্নচাপের প্রভাব দেখা দেবে। কিন্তু দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট পেরোতেই হাওয়া বদলের নাটকীয়তা চোখে পড়ে – নীল আকাশ ঢেকে যায় কালো মেঘে, আর কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হয় বৃষ্টি। প্রায় দুই থেকে তিন ঘণ্টা স্থায়ী হতে পারে এই ধারাপাত।

ফলে এবারের দুর্গাপুজোয় ষষ্ঠী-সপ্তমীর শুকনো আবহাওয়া আর থাকছে না। নবমী ও দশমীতে দক্ষিণবঙ্গবাসীকে প্রস্তুত থাকতে হবে বৃষ্টি ও ঘর্মাক্ত আবহাওয়ার মধ্যেই উৎসব উপভোগের জন্য।‌




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন