Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

সোমবার, ১১ আগস্ট, ২০২৫

এক এপিক নম্বরে দুই ছবি! ভোটাধিকার হারিয়ে চরম ভোগান্তিতে গাইঘাটার পরিমল

 

Voter-list

সমকালীন প্রতিবেদন : ভোটার তালিকায় চাঞ্চল্যকর অনিয়মের অভিযোগে সরগরম উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা। একই এপিক নম্বর ও একই নাম থাকা সত্ত্বেও ছবি ও ঠিকানা বদলে অন্য ব্যক্তির নাম তোলা হয়েছে ভোটার তালিকায়। এর জেরে সুটিয়া তেঘরিয়া এলাকার ১১৯ নম্বর বুথের বাসিন্দা পরিমল বিশ্বাস নিজের এলাকা থেকে ভোটাধিকার হারানোর অভিযোগ তুলেছেন।

পরিমলবাবুর আক্ষেপ, এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ভোট দিতে বুথে গেলেও বারবার ফিরতে হয়েছে খালি হাতে। বহু জায়গায় দৌড়ঝাঁপ করেও নিজের ভোটের হদিস পাননি তিনি। দিনমজুর হওয়ায় সরকারি দফতরের জটিল প্রক্রিয়া ভালভাবে না বুঝে অন্যের উপরেই ভরসা করেছেন। অথচ পরিবারের বাকিদের নাম তালিকায় থাকলেও অজ্ঞাত কারণে তাঁর নাম মুছে গেছে গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির সুটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ১১৯ নম্বর বুথ থেকে।

দুই সপ্তাহ আগে অনলাইনে খোঁজ নিয়ে তিনি আবিষ্কার করেন, তাঁর নাম, বাবার নাম ও এপিক নম্বর একই থাকলেও ভোটার তালিকায় ছবি ও ঠিকানা পরিবর্তন হয়েছে। নতুনভাবে তাঁর নাম উঠে গেছে বারাসাত লোকসভার অন্তর্গত রাজারহাট নিউটাউন বিধানসভার ১০২ নম্বর বুথে, ক্রমিক নম্বর ৪১৩-এ। অথচ তিনি কখনও স্থানান্তরের আবেদন করেননি এবং ওই এলাকায় তাঁর কোনও আত্মীয়ও নেই।

ঘটনার পর গাইঘাটা থানায় ও গাইঘাটা ব্লক উন্নয়ন আধিকারিকের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দেন পরিমলবাবু। ‌এই প্রসঙ্গে গাইঘাটার ব্লক আধিকারিক জানান, সোমবার বিকেলে প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র নিয়ে তাঁকে বিডিও অফিসে আসতে বলা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে সমস্যার উৎস চিহ্নিত করা হবে।

গাইঘাটার তৃণমূল নেতা অভিজিৎ বিশ্বাস সরাসরি নির্বাচন কমিশনের গাফিলতিকে দায়ী করেছেন। তাঁর কথায়, “এভাবে একজন প্রকৃত ভোটার ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, যা অত্যন্ত লজ্জাজনক।” স্থানীয় মহলে প্রশ্ন উঠেছে– নাগরিকত্ব থাকা সত্ত্বেও কেন এমন ‘ভুতুড়ে কারসাজি’ ঘটছে? পরিমলবাবুর আবেদন, দ্রুত সুটিয়া তেঘরিয়া বুথে তাঁর ভোট পুনর্বহাল করে দেওয়া হোক।‌




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন