সমকালীন প্রতিবেদন : ভোটার তালিকা ঘিরে ফের রাজনৈতিক অগ্নিগর্ভ পরিবেশ বনগাঁয়। সারা ভারত মতুয়া মহাসংঘের বনগাঁ শাখা অভিযোগ তুলেছে, বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া অবৈধভাবে ভোটার তালিকায় নাম তুলেছেন। তাঁদের দাবি, ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় বিধায়কের নাম থাকলেও একই তালিকায় তাঁর বাবা-মায়ের নাম নেই।
সোমবার মহকুমা শাসকের কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়ে বিক্ষোভে শামিল হন মতুয়া মহাসংঘের সদস্যরা। সংগঠনের বনগাঁ শাখার সম্পাদক প্রসেনজিৎ বিশ্বাস জানান, '২০০২ সালের ঘাটবাওর এলাকার ৩৫৪ নম্বর ভোটার তালিকায় কীর্তনীয়ার নাম থাকলেও তাঁর বাবা-মায়ের নাম অনুপস্থিত। বহু খোঁজাখুঁজির পর ২০১১ সালের তালিকায় তাঁদের নাম পাওয়া যায়। আমাদের প্রশ্ন—যদি বাবা-মা ভোটার না হন, তবে সন্তান কীভাবে ভোটার হলেন? এই পরিস্থিতি শুধুমাত্র বেআইনি উপায়েই সম্ভব।'
তিনি আরও বলেন, 'আমরা মনে করি তিনি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী। জেলা শাসকের কাছে ডেপুটেশন দিয়ে তাঁর বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছি।'
অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে নিজের যুক্তির সপক্ষে নথি দেখিয়ে অশোক কীর্তনীয়া বলেন, 'আমার বাবা ১৯৫০ সালে বাংলাদেশ থেকে এসেছেন, সব নথি আমার কাছে আছে। ১৯৯৩ সালেই বাবা-মায়ের ভোটার তালিকায় নাম ওঠে। ২০০২ সালের তালিকায় নাম না থাকার কারণ সেই সময়কার বাম নেতৃত্ব জানে। তৃণমূল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আমাকে হয়রানি করছে।'
এব্যাপারে তৃণমূলের বনগাঁ সংগঠনিক জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাসের মন্তব্য, 'এমন ঘটনা বিরল যে মা-বাবার আগে সন্তান ভোটার! ২০০২ সালে তাঁর নাম থাকলেও বাবা-মায়ের নেই, এর ব্যাখ্যা তাঁকেই দিতে হবে। বিজেপি বাংলায় এনআরসি ও সিএএ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াতে চাইছে।'
বিজেপির বনগাঁ সংগঠনিক জেলার সভাপতি বিকাশ ঘোষ অবশ্য অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন। তাঁর বক্তব্য, 'অশোক কীর্তনীয়ার বাবা ১৯৬০-৬৫ সালের মধ্যে এদেশে এসেছেন এবং ১৯৯৩ সালে ভোটার তালিকায় নাম ওঠে। তৃণমূল কৃত্রিম ইস্যু তৈরি করে রাজনৈতিক লাভ তুলতে চাইছে।'








কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন