Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

রবিবার, ১০ আগস্ট, ২০২৫

‌'আলু' কিন্তু মোটেই ফেলনা নয়, আছে অনেক গুন

Uses-of-potatoes

সমকালীন প্রতিবেদন : আলু শত্রু নয়, সঠিকভাবে খেলে বন্ধু। গবেষণায় মিলছে এমনই নতুন তথ্য। অপকারিতার পাশাপাশি উপকারিতাও বিস্ময়কর। আমরা অনেকেই মনে করি—আলু মানেই ডায়াবেটিস রোগীর সর্বনাশ, ওজন বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। তাই অনেকের খাদ্যতালিকা থেকে আলু প্রায় নির্বাসিত। কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, সঠিক পরিমাণে ও সঠিকভাবে খেলে আলু আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী খাদ্য উপাদান হতে পারে।

আলুর উপকারিতা-

আলুতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি, পটাসিয়াম, ভিটামিন বি৬, আঁশ এবং প্রাকৃতিক কার্বোহাইড্রেট। কাঁচা আলুর রসে থাকা প্রাকৃতিক সুগার ও কার্বোহাইড্রেট শরীরকে তাৎক্ষণিক শক্তি জোগায়। নিয়মিত অল্প পরিমাণে আলুর রস খেলে হজমশক্তি বাড়ে, অ্যাসিডিটি কমে এবং পাকস্থলির সমস্যায় উপকার মেলে। বিশেষত লাল আলুর রস আলসারের ব্যথা ও অস্বস্তি হ্রাস করতে পারে। ভিটামিন সি থাকার ফলে সর্দি-কাশি কমায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। আলুর রস লিভার পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে এবং পটাসিয়াম হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখে।

বাহ্যিক ব্যবহারেও উপকারী-

পুড়ে গেলে আলুর রস লাগালে জ্বালা কমে ও ফোস্কা পড়া রোধ হয়। অল্প কাটাছেঁড়ায় প্রাথমিক চিকিৎসার কাজ করে। মুখে আলুর রস লাগালে ক্লান্ত ভাব দূর হয়। চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতে কার্যকর।

আলুর অপকারিতা-

আলু যতটা উপকারী, অতিরিক্ত বা ভুলভাবে খেলে ততটাই ক্ষতিকর হতে পারে। আলুতে উচ্চমাত্রায় কার্বোহাইড্রেট থাকায় অতিরিক্ত খেলে ওজন বাড়তে পারে। উচ্চ গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (GI) থাকার কারণে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। ফ্রেঞ্চ ফ্রাই বা চিপসে প্রচুর তেল ও লবণ থাকে, যা হৃদরোগ ও স্থূলতার ঝুঁকি বাড়ায়। এতে থাকা সোলানিন বমি, ডায়রিয়া ও মাথা ঘোরা সৃষ্টি করতে পারে।

আলু খাওয়া একেবারেই পরিত্যাজ্য নয়। বরং পরিমিত ও স্বাস্থ্যকর উপায়ে—যেমন সেদ্ধ, ঝোল বা সামান্য ভাজা অবস্থায় খেলে এটি হতে পারে পুষ্টিকর ও উপকারী সবজি। তবে ডায়াবেটিস রোগী ও ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকা ব্যক্তিদের বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।‌






কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন