Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট, ২০২৫

বাতের ব্যথা নিয়ে হেলাফেলা না করে সঠিক চিকিৎসকের কাছে যান, অভিমত বাত বিশেষজ্ঞদের

 ‌

Arthritis-pain

সমকালীন প্রতিবেদন : বয়স বেশি হোক বা কম, বাতের ব্যথায় কষ্ট পেতে দেখা যায় এখন অনেককেই। কিন্তু কোন বাতের ব্যথা অটো ইমিউন ডিজিজের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত, সেটা জানতে পারেন না অনেক রোগীই। কারণ সচেতনতার অভাব, সঠিক চিকিৎসকের কাছে পৌঁছাতে না পারা। 

আর ঠিক এই জায়গা থেকেই বাতের ব্যথার সঠিক কারণ নির্ণয় করতে বদ্ধপরিকর বাত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা অর্থাৎ রিউমাটোলজিস্টরা। বাতের চিকিৎসা যাতে সঠিকভাবে হয়, তার জন্য সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারিভাবে রাজ্যে এই প্রথম একই ছাদের নিচে বাত এবং তার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত অন্যান্য রোগের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে নিউটাউনে গড়ে উঠেছে এশিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ইমিউনোলজি এন্ড রিউমাটোলজি ক্লিনিক। 

এই বিষয়ে এই ক্লিনিকের অন্যতম কর্তা, রিউমাটলজি বিভাগের চিকিৎসক ডাক্তার পার্থজিৎ দাস জানান, 'বাতের ব্যথায় কষ্ট পেয়ে অনেক সময় বাংলার রোগীরা বিভ্রান্ত হয়ে এই রাজ্য ছেড়ে বিভিন্ন রাজ্যে ঘোরাঘুরি করে অর্থ খরচ করে বাংলায় ফিরে আসেন। কিন্তু সেই ভাবে সুরাহা পান না। এই ধরনের রোগীদের কথা মাথায় রেখেই আমাদের এই প্রিমিয়ার কোয়ালিটির ইনস্টিটিউট খোলা হয়েছে, যেখানে বাত সংক্রান্ত সমস্ত রকম রোগের চিকিৎসা করা সম্ভব হচ্ছে।'

বাতের রোগ সম্পর্কে বলতে গিয়ে এই ইনস্টিটিউটের সঙ্গে যুক্ত আর এক কর্তা, রিউমাটোলজি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার অর্ঘ্য চট্টোপাধ্যায় জানান, 'বাতের ব্যথার একটি দিক হলো মেকানিক্যাল এবং আরেকটি দিক হল অটো ইমিউন ডিজিজ। কিন্তু কোন বাতের ব্যথা অটো ইমিউন ডিজিস এর অন্তর্ভুক্ত, তা রোগীরা অনেক সময় বুঝতে পারেন না। কোমর, ঘাড়, পিঠের যে ব্যথা সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর বা বিশ্রাম থেকে ওঠার পর ব্যথা বাড়ে এবং কাজ শুরু করার পরে আস্তে আস্তে কমে যায়, তখন বুঝতে হবে সেটা অটো ইমিউন ডিজিজের কারণে হচ্ছে। আর এমন হলে যত দ্রুত সম্ভব একজন রিউমাটোলজিস্ট এর সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।' 

ডাক্তার চট্টোপাধ্যায় আরো বলেন, অটো ইমিউন ডিজিজে আক্রান্ত হলে সঠিক সময় চিকিৎসা শুরু না হলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। মূলত কম বয়সের যুবক-যুবতীদের মধ্যেই এই ধরনের ‌বাতের ব্যথায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এর বাইরেও বাতের ব্যথা বহু ধরনের হতে পারে। আর সেক্ষেত্রে বয়সের কোন সীমারেখা নেই। বাচ্চাদের ক্ষেত্রেও ইমিউন ডেফিসিয়েন্সি দেখা যায়। এক্ষেত্রে মানুষের মধ্যে সচেতনতা কম থাকায় সমস্যা তৈরি হয়। অসুখ সময় মতো ধরা পড়লে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে সারা জীবন সুস্থ থাকা সম্ভব বলে তিনি জানান।‌






কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন