সমকালীন প্রতিবেদন : প্রয়াত হলেন বনগাঁর দীর্ঘদিনের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শ্যামল রায়। মঙ্গলবার সকালে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তাঁর এই প্রয়াণের খবরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বনগাঁর তৃণমূল কংগ্রেস পরিবারের অন্দরে।
আদ্যপ্রান্ত ভদ্র এবং সৎ ব্যক্তিত্বের পরিচয় বহন করা শ্যামল রায় গোপালনগর এলাকার বাসিন্দা। ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনী ব্যবস্থায় তিনি চার বার উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা পরিষদের অধ্যক্ষের দায়িত্বও পালন করেন।
১৯৯৮ সালে যখন তৃণমূল কংগ্রেস দল গঠিত হয়, তখন থেকেই তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত। এরপর কোনদিনই তিনি দলবদল করেননি। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় নেতৃত্ব তাঁকে বনগাঁ উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রে দলের প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করান। যদিও তিনি সেই নির্বাচনে পরাজিত হন।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল কংগ্রেস কমিটি ভেঙে যখন নতুন করে বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা তৈরি হয়, তখন তাঁকে বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান করা হয়। সম্প্রতি কমিটির রদবদল হওয়ার সময় দল তাঁর অসুস্থতার কারণ দেখি তাঁকে এই পদ থেকে সরিয়ে মমতা ঠাকুরকে চেয়ারম্যান করে। যদিও তাতে মানসিকভাবে আঘাত পান শ্যামলবাবু।
রাজনৈতিক কর্মকান্ডের বাইরে আগাগোড়াই তিনি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। দুই ছেলেই রাজ্য সরকারের কর্মী। গত দু'বছর ধরে কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। আর সেই কারণে মাঝেমধ্যেই ডায়ালিসিস করাতে কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে যেতে হতো তাঁকে। গতকাল সেই প্রয়োজনে তিনি কলকাতায় যান। আজ সকাল দশটা কুড়ি মিনিট নাগাদ বিধাননগরের সেই বেসরকারি হাসপাতালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন