Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

বুধবার, ৭ মে, ২০২৫

‌'অপারেশন সিঁন্দুর' এ কোন কোন স্মার্ট যুদ্ধাস্ত্র ব্যবহার করেছে ভারত?‌

Smart-weapons-of-India

সমকালীন প্রতিবেদন : মধ্যরাতে কিছু বুঝে ওঠার আগেই অন্ধকার ভেদ করে আছড়ে পড়ল হ্যামার, স্ক্যাল্প। ভারতের বদলা, ভারতের 'অপারেশন সিঁন্দুর' এ এখন সিঁদুরে মেঘ দেখছে পাকিস্তান। স্মার্ট যুদ্ধাস্ত্রেই ধুলোয় মিশে গেল একের পর এক জঙ্গী ডেরা। ইন্ডিয়ান আর্মি, ‌ইন্ডিয়ান নেভি আর ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্সের যৌথ অ্যাটাকে একের পর এক জঙ্গির মৃত্যু। কিন্তু কিসের ভরসায় এত বড় একটা অপারেশন চালানোর রিস্ক নিল ভারত? 'অপারেশন সিঁন্দুর' সফল করতে যা যা ব্যবহার করলো ভারত, সেই সবটা শুধু হাঁ হয়ে তাকিয়ে দেখল পাকিস্তান।

মোদির মাস্টারপ্ল্যান সাকসেসফুল। অপারেশন সিন্দুর সফল‌ হয়েছে। কিন্তু এই সাফল্যের মূল মন্ত্র সমরাস্ত্র। যুদ্ধাস্ত্র। কোটি কোটি টাকা ঢেলে দিয়েছে ভারত নিজেদেরকে প্রতিরক্ষায় পাওয়ারফুল করার জন্য। এটা ছিল জাস্ট তারই ঝলক। মূলত নির্ভুল টার্গেটে আঘাত হানতে সক্ষম, দীর্ঘপাল্লার অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করেছে ভারত, যার মধ্যে রয়েছে হ্যামার, স্ক্যাল্প এর মতো যুদ্ধাস্ত্র। প্রথমেই বলবো স্ক্যাল্প এর কথা। 

স্ক্যাল্প : এটা লং রেঞ্জ মিসাইল। যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া হয় এই ক্ষেপণাস্ত্র, যা ২৫০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্ব অতিক্রম করে শত্রুপক্ষের ঘাঁটিতে আঘাত হানতে পারে। যেমন এর লক্ষ্য একেবারে নির্ভুল, তেমন এর আঘাতে কিছুই আস্ত থাকে না, মুহূর্তের মধ্যে সবকিছু ভেঙে গুঁড়িয়ে যায়। 

হ্যামার : এটা একটা স্মার্ট বোমা, যা জঙ্গিদের পরিকাঠামো গুঁড়িয়ে দিতে ব্যবহার করা হয়েছে। বাঙ্কার থেকে বহুতল বিল্ডিং, প্রশিক্ষণ শিবির, অস্ত্রভাণ্ডার সব গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে লস্কর-ই-তৈবা, জইশ-ই-মহম্মদদের। ৫০-৭০ কিলোমিটার দূরত্বে আঘাত হানতে পারে হ্যামার। তবে কত উঁচু থেকে ছোড়া হচ্ছে, তার উপর ডিপেন্ড করে আঘাতের তীব্রতা। 

Loitering Munitions : এটা আসলে ড্রোন। মূলত নজরদারি চালানোর কাজে যা ব্যবহৃত হয়। যতক্ষণ পর্যন্ত না লক্ষ্য নির্ধারণ হচ্ছে, ততক্ষণ উড়ে বেড়ায় এই ড্রোনটি। এই ড্রোনকে Kamikaze Drone বা আত্মঘাতী ড্রোনও বলা হয়। স্বয়ংক্রিয়ভাবেও উড়তে পারে এই ড্রোন, আবার রিমোটের মাধ্যমেও কন্ট্রোল করা যায়। লক্ষ্যবস্তুকে চিহ্নিত করার পাশাপাশি এই ড্রোনে বিস্ফোরক বা পেলোডও বসানো যায়। ড্রোনের মাধ্যমেই আঘাত হানা যায় লক্ষ্যে। এটাও অপারেশন সিঁন্দুর অংশ নিয়েছিল।

উল্লেখ্য, এইসব স্মার্ট যুদ্ধাস্ত্রে, আর ভারতীয় তিন বাহিনীর তুখোড় প্ল্যানে বাহওয়ালপুরের মর্কাজ সুভান আল্লা নামক জইশ-ই-মহম্মদের সদর দফতর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যেখানে বরাবর জঙ্গিদের ট্রেনিং দেওয়া হতো, নাশকতা চালানো হতো ভারতে। মুরিদকে-র মর্কাজ তৈবায় লস্কর এর ২০০ একর জায়গাতেও স্ট্রাইক চালিয়েছে ভারত। সেখানেও জঙ্গিদের ট্রেনিং দেওয়া হতো। পাশাপাশি, সন্ত্রাসের দীক্ষা দেওয়া হতো, এমনকি নাশকতার ছক কষা হতো।

বাদ যায়নি কোটলির মর্কাজ আব্বাস শিবিরও। এখানে আত্মঘাতী জঙ্গিদের ট্রেনিং চলত। শুধু তাই নয়, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গিদের কাছে অস্ত্রশস্ত্র যেত এখান থেকেই। যা অপারেশন সিন্দুরে জাস্ট উড়ে গেছে। পাশাপাশি, স্লিপার সেলের প্রশিক্ষণ চলা থেকে শুরু করে মুজফ্ফরাবাদের সৈয়দনা বিলাল ও সাওয়াই নাল্লা শিবির থেকে ভারতে অনুপ্রবেশ ঘটাত লস্কর ও জইশ। সেটাও এদিন ছিল ভারতের টার্গেটে।

আর বরনালার মর্কজ আহলে হাদিথ শিবির, সরজলের তেহরা কালানে জইশ শিবির, সিয়ালকোটের মেহমুনা জোয়ায় হিজবুল মুজাহিদিনের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, এগুলো ছিল ভারতের টার্গেট লিস্টে। যা অপারেশন সিঁন্দুর ধুলোয় মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে।‌‌

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন