সমকালীন প্রতিবেদন : আইপিএল আপাতত স্থগিত। ভারত-পাক যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যেই টুর্নামেন্ট স্থগিত করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শনিবারের পর ফের একবার ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড আইপিএল শুরু করার জন্য উদ্যোগ নিতে পারে।
এক্ষেত্রে সব ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে সব প্লেয়ারদের একজোট করার জন্য। কারণ বোর্ড চাইছে এই মাসের মধ্যেই আইপিএল শেষ করতে। পরিবর্তিত সূচি ঘোষণা করে টুর্নামেন্ট আগামী মে মাসের মধ্যে শেষ করতে চাইছে বিসিসিআই, এমনটাই সূত্র বলছে।
এবার আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে যদি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে, সেক্ষেত্রে কোথায় হবে আইপিএলের বাকি ম্যাচ, তা ইতিমধ্যেই ঠিক করে ফেলেছে বিসিসিআই। সম্ভাব্য ভেন্যু হিসেবে উঠে এসেছে কলকাতার নামও। বিসিসিআই চাইছে পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির পাশাপাশি দেশের দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে বাকি ম্যাচগুলি আয়োজন করতে।
আরও জানা গিয়েছে, ধরমশালায় ব্ল্যাক আউটের কারণে পরিত্যক্ত হওয়া পঞ্জাব-দিল্লি ম্যাচ দিয়েই শুরু হতে পারে অষ্টাদশ আইপিএলের দ্বিতীয় দফা। বিসিসিআই সূত্রে খবর, দলগুলিকে ইতিমধ্যেই তৈরি থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
যদিও প্রশ্ন উঠছে, যা পরিস্থিতি তাতে এক সপ্তাহের মধ্যে সব কিছু কি স্বাভাবিক হবে? সূত্রের খবর, বোর্ডের একটা বড় অংশ চায় দু’সপ্তাহের মধ্যে আইপিএল শেষ করতে। এক্ষেত্রে নিরাপত্তার বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে বোর্ড।
কলকাতা ছাড়াও সম্ভাব্য ভেন্যু হিসেবে চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, হায়দ্রাবাদের নামও উঠে আসছে। এই চারটি শহরকে বেছে নেওয়ার কারণ কী? প্রথমত, পাকিস্তান সীমান্ত এবং নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে অনেকটাই দূরে শহরগুলি। তাছাড়াও, বিমান চলাচলও স্বাভাবিক রয়েছে এখানে। ফলে এই শহরগুলিতে খেলা হলে ক্রিকেটারদের যাতায়াতের ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হবে না।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে বিসিসিআইয়ের এই জরুরি পরিকল্পনার কথা জানা গিয়েছে। বিসিসিআইয়ের সূত্র মতে, 'বোর্ড একটি জরুরি পরিকল্পনা তৈরি করছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, কলকাতা, হায়দ্রাবাদ, চেন্নাই কিংবা বেঙ্গালুরুতে আইপিএলের বাকি ম্যাচ আয়োজিত হবে। সীমান্তে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তবেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।'
প্রসঙ্গত, এখনও আইপিএলে বাকি ১২টি লিগ পর্যায়ের ম্যাচ, চারটি প্লে অফ ম্যাচ-সহ ফাইনাল। তবে, এক সপ্তাহ পর পরিস্থিতি ঠিক না হলে বিসিসিআই’কে হয়তো ভারতের বাইরে বিকল্প ভেন্যু বেছে নিতে হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন