সমকালীন প্রতিবেদন : এমবিবিএস নয়, এবার উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করলেই হতে পারবেন ডাক্তার! ভাবছেন গল্প কথা? ভুল। জানুন মাত্র ৬ মাসের মেডিকেল কোর্সেই কিভাবে হবে কামাল। রোজকার করতে পারবেন লক্ষ টাকা। কোর্সের সার্টিফিকেটটাই ইম্পরট্যান্ট। কি কোর্স? যোগ্যতা কি লাগবে? সবটা বিশদে আলোচনা করব আজকের এই প্রতিবেদনে।
নিট পাশ করা কি চাট্টিখানি কথা? নিজেই নিজেকে প্রশ্নটা করে দেখুন তো। অথচ, প্রতি বছর প্রায় ১৫-২০ লক্ষ শিক্ষার্থী নিট পরীক্ষায় বসছেন। আসলে এমবিবিএস, বিএএমএস, বিএইচএমএস, বিডিএস এর মতো মেডিক্যাল কোর্সে ভর্তি হতে নিট ইউজি পরীক্ষা পাশ করা বাধ্যতামূলক। হ্যাঁ, এটা বিশ্বের অন্যতম কঠিন পরীক্ষা। যাতে উত্তীর্ণ হওয়া সহজ নয়। ফলে, আপনি যদি নিট-এ অকৃতকার্য হন বা অল্প সময়ে মেডিক্যাল প্ল্যাটফর্মে কেরিয়ার গড়তে চান, সেক্ষেত্রে কিন্তু স্বল্পমেয়াদি মেডিক্যাল কোর্স আপনার জন্য দারুন বিকল্প হতে পারে।
এবার জানিয়ে রাখি যে কোর্সগুলোর কথা আজকে বলবো সেগুলো শুরু করতে গেলে কিরকম যোগ্যতা লাগে? এই কোর্সে ভর্তি হতে দ্বাদশ বা স্নাতক উত্তীর্ণ হওয়া প্রয়োজন। কিছু মেডিক্যাল কোর্স মাত্র ৬ মাসেই সম্পন্ন করা যায়। আর কোর্সের সার্টিফিকেট হাতে পেলেই ব্যাস্। নার্সিং হোম, মেডিক্যাল কলেজ, হাসপাতাল, প্রাইভেট ক্লিনিক ইত্যাদিতে চাকরি শুরু করতে পারবেন আপনি। উপার্জন এর পথটাও কিন্তু ভালো। মনে রাখবেন, অভিজ্ঞতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বার্ষিক উপার্জন লাখ টাকা পার করে যেতে পারে। তাহলে জেনে নিন কোর্সগুলো কি কি?
১) ডিপ্লোমা ইন মেডিক্যাল ল্যাবরেটরি টেকনোলজি বা ডিএমএলটি : এটা ২ বছরের একটি স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা প্রোগ্রাম। চিকিৎসা সংক্রান্ত ল্যাবরেটরি প্রযুক্তির জ্ঞান ও ব্যবহারিক দক্ষতা অর্জনের জন্য ডিএমএলটি সার্টিফিকেট আবশ্যক।
২)ইমার্জেন্সি মেডিক্যাল টেকনিশিয়ান বা ইএমটি : ইএমটি পেশাদাররা জরুরি পরিস্থিতিতে রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করেন এবং তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যান। এই কোর্স কম সময়ের মধ্যেই চিকিৎসা ক্ষেত্রে কাজের সুযোগ তৈরি করে।
৩) ফ্লেবোটমি টেকনিশিয়ান কোর্স : এই কোর্সে রক্ত সংগ্রহ ও ল্যাবে বিশ্লেষণ করার দক্ষতা শেখানো হয়। এটাও ৩ মাস থেকে ৬ মাসের মধ্যে সম্পন্ন করা সম্ভব।
৪) সার্টিফিকেট ইন ফুড অ্যান্ড নিউট্রিশন : এটি খাদ্যবিজ্ঞানের ওপর একটা গুরুত্বপূর্ণ কোর্স। ৬ মাস থেকে ২ বছর সময়ের মধ্যে এই কোর্স কমপ্লিট করা যায়।
৫) নার্সিং অ্যাসিস্ট্যান্ট : দশম শ্রেণি উত্তীর্ণদের জন্য ৬ মাসের ডিপ্লোমা কোর্স। পাশাপাশি নার্সিং কেয়ার অ্যাসিস্ট্যান্ট নামেও কোর্স রয়েছে। প্রতি মাসে ১৮-২০ হাজার টাকা বেতনে চাকরির সুযোগ এই কোর্স কমপ্লিট করলে।
৬) অপারেশন থিয়েটার টেকনোলজি বা ওটি টেকনিশিয়ান : দ্বাদশ শ্রেণী পাস করার পর ৬ মাসের অপারেশন থিয়েটার টেকনোলজি কোর্স করে ওটি টেকনিশিয়ান হওয়া যায়। জেনে রাখা দরকার, ভারতে ওটি টেকনিশিয়ানদের গড় মাসিক বেতন ২৩-২৫ হাজার টাকা।
৭) ইকোকার্ডিওগ্রাফি ও আলট্রাসাউন্ড সার্টিফিকেট কোর্স : এই কোর্স করে ইকোকার্ডিওগ্রাফি ও আলট্রাসাউন্ড প্রযুক্তিতে দক্ষতা অর্জন করা যায়। রিপোর্ট অনুযায়ী, একজন আলট্রাসাউন্ড টেকনিশিয়ান মাসে ৪০-৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।
তাই যারা মেডিকেলে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন, তাদের জন্য এইরকম স্বল্প মেয়াদী কোর্সই এনে দিতে পারে জীবনের সাফল্য।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন