Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

বৃহস্পতিবার, ১ মে, ২০২৫

পাক কমান্ডোর প্রশিক্ষণ আছে পহেলগাঁও হামলার মূল চক্রীর

 ‌

Mastermind-of-Pahalgaon-attack

সমকালীন প্রতিবেদন : ‌পাক সেনার প্রাক্তন কমান্ডো হাশিম মুসাই পহেলগাঁও হামলার মূল চক্রী! চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস! কিভাবে, কোন পথে হামলা; ব্লুপ্রিন্ট তৈরি হয়েছিল মুসার হাতেই। প্যারা কমান্ডোর প্রশিক্ষণ থাকার কারণেই জঙ্গি হামলায় বিশেষ সুবিধা মুসার? এক নয়, আগেও কাশ্মীরে দু দুটো হামলায় যোগ ছিল এই জঙ্গির! 

দুটো ছবি, দুটো দেশের। যে দুটো ছবিতে আকাশ পাতাল ফারাক। একদিকে দেশকে বাঁচাতে ভারতের সেনারা যখন জীবনের ঝুঁকি নিতে দুবার ভাবে না, তখন পাক সেনার কমান্ডোই কিনা জঙ্গি হামলার নেতৃত্ব দিচ্ছে! অবাক হলেও এটাই বাস্তব। ভারত আর পাকিস্তানের মধ্যে এটাই তফাৎ। হ্যাঁ, পহেলগাঁওয়ে হামলার নেতৃত্বে ছিল পাক জঙ্গি হাশিম মুসা। তদন্তে এমনই তথ্য উঠে এসেছে বলে সূত্রের খবর। যে হাশিম মুসা পাক সেনার প্রাক্তন কমান্ডো ছিল। পরে লষ্কর-ই-তৈবা জঙ্গিগোষ্ঠীতে যোগ দেয়। আর তার উপরেই দেওয়া হয় গুরুদায়িত্ব। 

সূত্রের দাবি, জম্মু-কাশ্মীরে নিরাপত্তাবাহিনী এবং কাশ্মীরি নন, এমন ব্যক্তিদের উপর হামলা চালানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল মুসাকে। আর তাই পহেলগাঁওতে ২৬ জন হিন্দু পর্যটক এর মৃত্যুর পর তদন্তকারীদের সন্দেহ, কী ভাবে, কোন পথে হামলা চালানো হবে, তার পুরো নীল নকশা তৈরি করেছিল মুসা নিজেই। বিশেষ করে প্যারা কমান্ডোর প্রশিক্ষণ থাকায় সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এই হামলা চালায় মুসা এবং তার সহজঙ্গিরা।

কিন্তু এই প্যারা কমান্ডোর ট্রেনিং আসলে কোন কোন দিক থেকে সুবিধা করে দিয়েছিল মুসা কে? জেনে রাখা দরকার, এনএসজির প্যারা কমান্ডোদের অত্যন্ত কঠিন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। যে কোনও পরিস্থিতি, যে কোনও আবহাওয়ায় মানসিক এবং শারীরিকভাবে সক্ষম থাকা, পরিস্থিতি অনুযায়ী কৌশল বদলের মতোও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। 

এই কমান্ডোরা যেমন অত্যাধুনিক অস্ত্র চালাতে দক্ষ, তেমনই সামনাসামনি লড়াই এবং কীভাবে বেঁচে ফিরতে হবে, তার কৌশলও তাদের আয়ত্তে। অতএব এখান থেকেই আন্দাজ করা যায়, একের পর এক জঙ্গি হামলা কতটা দক্ষ হাতে সামলেছে মুসা। বৈসরনে হামলায় জড়িত সন্দেহে ইতিমধ্যেই ১৫ জন স্থানীয়কে গ্রেফতার করে জেরা করছেন তদন্তকারীরা। 

সূত্রের খবর, তাদেরকে জেরা করাতেই বেশ কয়েকটা চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। যার মধ্যে এই মুসার বিষয়টা থাকার পাশাপাশি এই হামলার নেপথ্যে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই যোগের বিষয়টাও স্পষ্টভাবে পাওয়া যাচ্ছে।

তবে শুধু পহেলগাঁও নয়, জম্মু-কাশ্মীরে বেশ কয়েকটি জায়গায় মুসাকে হামলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল লস্করের তরফে। যার মধ্যে গত বছরে বারামুলা-সহ কাশ্মীরের দুই জায়গায় হামলার নেপথ্যেও ছিল এই কট্টরপন্থী পাক জঙ্গি মুসা। আরও ডিটেইলে বলতে হলে, ২০২৪ সালে গান্ডেরবালের গগনগিরের জঙ্গি হামলায় ফিরতে হয়। 

সেই হামলায় ছয় পরিযায়ী শ্রমিক এবং এক চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছিল। ওই বছরেই বারামুলার বুতা পাথরিতে আরও একটি হামলা হয়। সেই হামলায় সেনার চার জওয়ান নিহত হয়েছিলেন। গত বছরের ওই দুই হামলার সঙ্গে পহেলগাঁওয়ে হামলার যোগ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে বলে সূত্রের খবর। 

পহেলগাঁওয়ে হামলার আগে সোপোরে বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে কোনওরকমে প্রাণ বাঁচিয়ে পালিয়েছিল মুসা। আর তারপরেই ঘটালো পহেলগাঁও জঙ্গি হামলা। কিন্তু এরপর? প্যারা কমান্ডোর কঠিন প্রশিক্ষণ বারবার এভাবে বাঁচাতে পারবে কি মুসাকে? উত্তর দেবে সময়। উত্তর দেবে ভারত।‌



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন