সমকালীন প্রতিবেদন : ৩ তেতো খাবার পাতে রাখলে পক্স ছুঁতেও পারবে না। হাম, জ্বর, সর্দির হাত থেকেও বাঁচতে পারবেন অনায়াসে। কোন তেতোতে কি উপকার? প্রতিদিন পাতে কোনটা রাখবেন? উচ্ছে, করলা নাকি অন্য কোনও অপশন? বসন্তের এই সময় কোন কোন খাবার এড়িয়ে যাবেন, এই সব কিছু নিয়েই আজকের প্রতিবেদনে।
খাবারের পাতে টক-ঝাল-মিষ্টি, সবই রাখতে হয়। কিন্তু তেতো সবাই ভালবাসে না। পাতে তেতো দেখলে অনেকেরই ‘মুড অফ’ হয়ে যায়। কিন্তু রোগের হাত থেকে বাঁচতে গেলে তেতো মাস্ট। বিশেষত, এই বসন্তে। সে ক্ষেত্রে প্রথম অপশন হতে পারে নিমপাতা।
নিমপাতা : এই মরশুমে যত বেশি নিম পাতা খাবেন, আপনার জন্যই উপকারী। কচি নিম পাতা ভাজা, গরম ভাতের সঙ্গে খেতে মন্দ লাগে না। মনে রাখবেন, নিমপাতার মধ্যে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টিভাইরাল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে। নিম পাতা খেলে দেহে ইমিউনিটি বাড়ে। ছোট-বড় কোনও রোগ ধারে কাছে ঘেঁষে না। এছাড়া, নিমপাতা খেলে শরীর থেকে টক্সিন বেরিয়ে যায়। এতে পেট ও ত্বকের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
উচ্ছে ও করলা : উচ্ছে, করলা অনেকেরই পছন্দ। এতে স্বাস্থ্যকর ফাইটোকেমিক্যাল ও ফ্ল্যাভনয়েড রয়েছে। যেসব উপাদান ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি আটকে দেয়। পাশাপাশি উচ্ছে, করলা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। টাইপ-২ ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য উচ্ছে, করলা ওষুধের মতো কাজ করে।
সজনে ফুল : বসন্তের আবহে পাতে রাখুন সজনে ফুল। শুধুমাত্র বছরের এই সময়টাতেই সজনে ফুল পাওয়া যায়। বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন, মিনারেলে ভরপুর এই ফুল। মরশুমি জ্বর-সর্দি, পক্সের মতো রোগের হাত থেকে শরীরকে সুরক্ষিত রাখে সজনে ফুল। ইমিউনিটি বাড়িয়ে তোলার পাশাপাশি হাড়কে মজবুত করে সজনে ফুল। তাই এই মরশুমে সজনে ফুল ভাজা কিংবা বড়া অবশ্যই খান।
কোন তিনটে তেঁতো পাতে রাখবেন, সেটা তো জানালাম। এবার জেনে নিন এই বসন্তের আবহে কোন কোন খাবার আপনাকে অ্যাভয়েড করতে হবে।
শরীর সুস্থ রাখতে চিকিত্সকরা অতিরিক্ত তেল মশলাযুক্ত খাবার খেতে বারণ করেন। জাঙ্ক ফুড বা ফাস্ট ফুড অ্যাভোয়েড করুন। প্রসেসড কোনো খাবার খাবেন না। অ্যাভোয়েড করুন মিষ্টিও। তবে প্রচুর জল খান। ডাব খান। টাটকা ফল খান। সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন